সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা

গুলশান থেকে গ্রেফতার আশিষ চৌধুরী

মঙ্গলবার, এপ্রিল ৫, ২০২২
গুলশান থেকে গ্রেফতার আশিষ চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ ২৪ বছর আগে চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত এক নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর আশিষ মিরপুরের বাসা ছেড়ে গুলশানের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। গ্রেফতারের ভয়ে বাসাটিতে গত ৩০ মার্চ থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে রাজধানী গুলশানের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার প্রধান আসামি আশিষকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, গত ২৮ মার্চ নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আশিষ চৌধুরী মিরপুর ডিওএইচএসের বাসা ছেড়ে গুলশানের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। ৩০ মার্চ থেকে এই বাসায় গোপন তথ্যে এই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়ে। এই বাসাটি তিনি আত্মগোপনের জন্য ব্যবহার করছিলেন। তার বাসা থেকে ২৩ বোতল মদ, কয়েক বোতল বিয়ার ও সিসার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, তার বাসায় আমরা দুজন নারীকে পেয়েছি। তার পরিবার এখানে থাকেন না। দুজন নারীর পরিচয় ও কী উদ্দেশ্যে ছিলেন, তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। আশিষ রায় একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যায় তার সম্পৃক্ততা ও অন্যান্য বিষয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে আগামীকাল বিস্তারিত জানানো যাবে।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়।

ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় ভেতরে ঢুকতে তাকে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান। আসামিদের মধ্যে আদনান খুনের পরপরই ধরা পড়েছিলেন।

আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

১৯৮৪ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে নামের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন সোহেল চৌধুরী। ওই একই প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন তার স্ত্রী দিতিও।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল