শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

তরুণ্যের ভাবনায় মা দিবস

রোববার, মে ৮, ২০২২
তরুণ্যের ভাবনায় মা দিবস

মোঃ কাওছার আলী:

মা। এমন একটি মধুর শব্দ যা পৃথিবীর অন্য কিছুতেই নেই। একজন মা একটি বটবৃক্ষ । জীবনের কঠিন সব দিনগুলোতেও অবলীলায় যাতনা মেনে নিয়েই 
ছায়ার মতই পাশে থাকেন সবসময়। মাকে ভালোবাসোতে বিশেষ দিনের প্রয়োজন না হলেও এই দিনটিতে আরও একবার মায়ের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশের এক  অন্যতম মুহূর্ত। এবারের মা দিবসে তরুণ্যের ভাবনা ও প্রত্যাশার কথা জানাচ্ছেন ডিআইইউ প্রতিনিধি কাউসার আহমেদ।



মা শব্দটি ছোটো হলেও গভীরতা বিশাল

ফয়সাল মাহমুদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় 
মা একটি মাত্র শব্দ নিয়ে গঠিত। শব্দ ছোটো হলেও গভীরতা বিশাল। বিশ্বে জাতিসংঘ অনুমান করে যে সারা বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় 385,000 শিশুর জন্ম হয় 
(140 মিলিয়ন বছরে)। এই সংখ্যাটি ২০২০ থেকে ২০৭০ পর্যন্ত পঞ্চাশ বছরে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকবে। প্রতি বছরে শিশুর এই জন্ম স্বাভাবিক ভাবেই 
মাতৃত্বের গুরুত্ব বুঝিয়ে দেয়। একজন মায়ের গুরুত্ব শুধু দিবস পালনের মাধ্যমেই বোঝানো সম্ভব নয় কখনই। একবিংশ শতাব্দীতে এসে মা এর ভূমিকা ও 
ব্যক্তিসত্তা বৃহত্তর সমাজ কে প্রভাবিত করে তুলেছে। মা মানে শুধু এখন গৃহীজীবন নয়। একজন মা একই সাথে বর্তমানে সু শিক্ষিত ও বিভিন্ন পেশাতে ভূমিকা 
রাখছেন। ঘরের বন্দী জীবন থেকে তাদের মুক্তজীবন ভূমিকা রাখছে দেশের সমগ্র খাতে। অথচ এই ভূমিকা রাখতে গিয়ে প্রতিটা পদক্ষেপে হীনতা ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছেন আমাদের মায়েরা। আমাদের সমাজ একজন মা এর প্রগতিশীলতা কে এখনও স্বীকৃতি দিতে পারে নি। কৃষি ও শ্রম বাজারে তাদের অংশগ্রহণ অনেক কম এখনো। প্রতিবছর এর ন্যায় এবারও বিভিন্ন অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে পালন করা হবে বিশ্ব মা দিবস। দিবসের প্রতি সাময়িক শ্রদ্ধা কখনই একজন মা কে আন্তনির্ভশীল করে তুলবে না বরং মায়ের যথাযথ সম্মান ও দায়িত্ব রক্ষার্থে সুস্ঠু আইন প্রণয়ণ করতে হবে। মা কে তার বৃদ্ধ জীবনে পর্যাপ্ত সেবা ও স্থিতিশীল জীবন প্রদানের
রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা করতে হব। মনে রাখতে হবে মায়ের যত্নই ভবিষ্যৎ শিশুর সুস্ঠু জীবন নিশ্চিত করবে।


মায়ের প্রতি আন্তরিকতা বাড়ুক

জেরিন জেসিয়া ঐশী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি 
মা! ছোট্ট এক অক্ষরের শব্দ হলেও বিশালতা সাগরের চেয়েও বেশি। আজ ৮ই মে বিশ্ব মা দিবস। পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেক দেশে প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় 
বরিবার বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়। মা দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো মাকে যথাযথ সম্মান দেয়া। এইদিনে মায়েদের জন্য তার সন্তানেরা উপহার আনে, নিজের হাতে  রান্না করে মাকে খাওয়াবে বলে, কেক কেটে উৎযাপন করে দিনটি। মা হলো একটা গভীর মমতার নাম। যে মা জন্ম দিয়েছেন, লালন-পালন করেছেন তাকে শ্রদ্ধা-সম্মান জানানোর জন্যই দিনটি পালন করা হয়। যদিও মাকে ভালোবাসা, সম্মান জানানোর জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণের দরকার হয় না, তবুও দিনটি আজ মায়েদের। পুরাণ থেকে কোরআন, বাইবেল থেকে ত্রিপিটক প্রতিটি ধর্মে, প্রতিটি ধর্ম গ্রন্থে মা এর মর্যাদা নিয়ে কথা বলা হয়েছে, মাকে দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান। কোরআন এ বলা আছে, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত। কিন্তু বাস্তবে আজ ভিন্নচিত্র। কতো শত কষ্ট, ত্যাগ এর মধ্যে দিয়ে মা আমাদের পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন, শিখিয়েছেন কথা বলা। দোকানের সবথেকে দামী পোশাকটা সন্তানের জন্য আর নিজের জন্য একটা হলেই হবে বলা মানুষটা হলো মা।মায়ের কোনো ছুটি নেই।
সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমনোর আগ পর্যন্ত মায়ের কাজের শেষ নেই। কার কি লাগবে, কে কি খাবে, কে কোন ড্রেসটা পড়বে সব মায়ের একা সামলাতে হয়। সকালে বের হওয়ার আগে দেখি মা কাজ করছে, সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেও দেখি মা কাজ করছে। মায়ের কোনো ক্লান্তি নেই,নেই কোনো অবসাদ। সবার মুখে হাসি থাকলেই মা খুশি। অথচ পান থেকে চুন খসলেই আমরা অনেকেই মায়ের ওপর রাগারাগি করি, উচ্চকন্ঠে কথা বলে উঠি। অসুস্থ মাকে দেখাশোনা ঝামেলা মনে করে ছেলে তাকে ফেলে আসছে রাস্তায়। সোশ্যাল স্ট্যাটাস এর সাথে মা মানানসই না, উনি একটু পুরনো ধাঁচের বলে তাকে রাখছে ঘরবন্দী আর না হয় পাঠিয়ে দিচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে। আমাদের কারো কারো জীবন এখন এতোই ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে যে মায়ের সাথে কিছুক্ষন কথা বলার সময় পাওয়া দায়। মাকে ভালোবাসতে হবে, সম্মান করতে হবে কিন্তু সেটা কেবল একদিনের জন্য না। কেবল মা দিবসেই মাকে উপহার দিয়ে, কেক কেটে আমাদের দায়িত্ত্ব যেনো শেষ না হয়ে যায়। 

মায়ের খেয়াল রাখতে হবে রোজ, মায়ের যত্ন নিতে হবে, ভালোবাসতে হবে। ছোটবেলায় আমাদের শখ আহ্লাদ পূরণের দায়িত্ব যেমন ছিলো মায়ের, তেমনি এখন মায়ের শখ আহ্লাদ পূরণের দায়িত্ব নিতে হবে আমাদের। মায়ের বয়স হয়েছে, ওষুধ খেয়েছে কিনা খোঁজ নিন। রোজ ভার্সিটি কিংবা অফিস যাওয়ার আগে একবার  মায়ের সাথে দেখা করে যান, বাসায় ফিরে মাকে জিজ্ঞেস করুন, মা কেমন আছো? এতেই মা ব্যাপক খুশি হয়ে যাবে, হয়তো আর অর্ধেক অসুখও ভালো হয়ে  যেতে পারে। মাকে খুশি করতে কিন্তু এরচেয়ে খুব বেশি কিছু লাগে না। কেবল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেনো আমাদের মায়ের প্রতি ভালোবাসা সীমাবদ্ধ না থাকে। মায়ের প্রতি আন্তরিকতা বাড়ুক মায়ের সাথেই। মা দূরে থাকলে তাকে কল করে কিছুক্ষণ কথা বলুন,মাকে সময় দিন। আর কাছে থাকলে তাকে জড়িয়ে ধরে
বলুন, "মা তোমাকে অনেক ভালোবাসি।"

বছরের প্রতিটা দিনই হোক মা দিবস

ফারহানা আফসার মৌরী,  বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
মা দিবস নিয়ে বলতে গেলে প্রথমেই যে শব্দগুলো মাথায় আসে সেগুলো হচ্ছে,"সম্মান","ভালোবাসা","শ্রদ্ধা"। যেই মা আমাদের জন্ম দিয়েছেন, লালনপালন করেছেন, তাঁকে শ্রদ্ধা দেখানোর জন্যই প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী মা দিবস পালন করা হয়। মা দিবসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মা কে যথাযথ সম্মান দেওয়া। কিন্তু এই শব্দগুলোর প্রয়োগ যেনো শুধুমাত্র বছরে একদিন না হয়.। বছরের প্রত্যেকটা দিন যেনো সন্তানের কাছে মা দিবস হয় এবং সারাজীবন যেনো মায়েদেরকে শ্রদ্ধা, সম্মান,ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখা হয়। কেনোনা মায়েদের আত্নত্যাগ,অবদান আমাদের জীবনে শুধুমাত্র একদিনের জন্য হয় না,প্রতিটা মুহূর্তে মায়েরা তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তুলেছেন এবং করে যাচ্ছেন।তাঁদের ভূমিকা আমাদের জীবনে অপরিশোধযোগ্য। কিন্তু আজকাল প্রায়ই  পত্রিকার পাতা উল্টালে দেখা যায়, সন্তানের হাতে মায়েরা নির্যাতিত হচ্ছেন। ছেলেরা বউএর কথায় তার বৃদ্ধ মা কে নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে কিংবা বাড়িতে রেখে সংসারের যাবতীয় কাজ বৃদ্ধ মা কে দিয়ে করায়। এগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কমছে না এসব অত্যাচার, নির্যাতন। এর কারণ হচ্ছে 
সমস্যা টা আমাদের আইনি ব্যবস্থাপনায় নয়,আসল সমস্যা আমাদের চিন্তা ভাবনা, মন মানসিকতায়। আমাদের অনেকেরই ধারণা, মায়েরা বৃদ্ধ হয়ে গেলে বোঝাহয়ে যায়,কোনো কাজে আসেনা,ঝামেলা সৃষ্টি করে। অথচ সাময়িক সুখের মোহে পড়ে আমরা ভুলে যাই সেই সুখময় ছোটবেলার দিনগুলি! যেই দিনগুলিতে মা অসংখ্য লাথি গুতো খেয়েও দশ মাস দশ দিন আমাদের পেটে ধরেছেন,জন্ম দিয়েছেন,লেখাপড়া শিখিয়েছেন,নিজে না খেয়ে আমাদের খাইয়েছেন।এই ক্ষেত্রে আমার নিজের মায়ের কথা না বললেই নয়.! আমি এখনো কোন ড্রেসটা পরবো,কিভাবে চুল বাধবো,কিভাবে ভার্সিটি যাবো,আম্মুকে জিজ্ঞেস করে, আম্মুর কথামতো করি,এখনো পরীক্ষা থাকলে আমি ঘুমিয়ে যাই,কিন্তু আম্মু জেগে জেগে কোন টপিক টা ইম্পর্ট্যান্ট সেইটা গুছিয়ে দেয়। এই জিনিসগুলো তো কখনোই অস্বীকার করতে পারবো না..! "মা দিবস" মায়েদের জন্য বছরে একটা স্পেশাল দিন। অবশ্যই আমি দিনটিকে সম্মান করি। কিন্তু শুধুমাত্র মা দিবস দেখে ওই একদিন বিশাল  একটা কেক এনে কেটে, মা কে অনেক দামী গিফট দিয়ে ছবি তুলে আপলোড করে বছরের বাকি ৩৬৪ দিন মাকে অসম্মান, অবহেলা করলাম,তাহলে এই মা দিবসকে আমি সমর্থন করি না। আমার কাছে মা দিবস মানে, আজকে মায়ের একটু বেশি পরিশ্রম হচ্ছে, মায়ের এই কাজটা আমি করে দেই কিংবা মায়ের এই 
খাবারটা পছন্দ, এইটা আজকে নিয়ে যাই বাসায়। মায়ের যতটুকু প্রাপ্য অত হয়তো আমরা সন্তানেরা কোনোদিনও দিতে পারবোনা তবুও আজকে "মা দিবস" এ  আমাদের সকলের শপথ নেওয়া উচিৎ, মা কে যেনো কখনো অসম্মান না করা হয়। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মায়েরা। বিশ্বের সকল মা কে " মা দিবস" এর 
শুভেচ্ছা।

মা এর কোনো সংজ্ঞা হয় না

রিপন কুমার সাহা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
যদি আমাকে প্রশ্ন করা হয়, মা মানে কি? এক কথায় আমার উত্তর হবে মা মানে পৃথিবী। হাজার হাজার শব্দ দিয়েও যদি মাকে সংজ্ঞায়িত করি, তবুও হয়ত 
মায়ের সংজ্ঞায়ন শেষ হবে না। এই মাহাশূন্যের যেমন কোন সীমা নেই, ঠিক তেমনি মায়ের ভালবাসার কোন সীমা থাকে না। চিরন্তন একটি আশ্রয়ের নাম হল মা। 
বাংলাদেশে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারে পালিত হয় মা দিবস। মা দিবসের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বের সকল মাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা । কিন্ত সেই সম্মান কখনোই  শুধু মা দিবস বা একদিনের জন্য হওয়া কাম্য নয়। মায়ের ভালবাসা কখনও অর্থ দিয়ে ক্রয় করা সম্ভব নয়।আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে এখন পর্যন্ত এমন একদিনও যায়নি যে, মা আমাকে ফোন দিয়ে খবর নেয়নি। মা প্রত্যেকদিন কিছুক্ষণ পরপর ফোন দিয়েই জিজ্ঞেস করবে, "বাবা কেমন আছিস ? কি করছিস? ঠিকঠাক খাওয়া দাওয়া করছিস ত? টাকা পয়সা লাগলে বলিস, তোর বাবাকে তাহলে পাঠিয়ে দিতে বলব। আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়িতে আসলেই  যেন বাড়ির অতিথি হয়ে যাই। আমি যা যা ক্ষেতে ভালবাসি, ওই দিনগুলোতে যেন শুধু ওগুলোই রান্না হয়। আর যখন আমি বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি, 
কিছু না বললেও মা আমার সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আর অনেক খাবার বস্তায় পুরে দেয়। 
এই মা শব্দের মধ্যে লুকিয়ে আছে মুঠোভরা স্নেহ , ভালবাসা আর অকৃত্রিম মায়া। এখন সময় এসেছে বিশ্বের প্রতিটি মাকে তার যথাযথ সম্মান দেয়া এবং বৃদ্ধাশ্রম  গুলোর সিট খালি করা।

তোমাকে ভালোবাসার আমি খুব মুগ্ধতা পাচ্ছি মা

সুসমিতা রায়, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি 
প্রিয় মা! মা এক অহ্মরের নামটির মধ্যে যেন মধু মাখা। মা সন্তানের এই সু সম্পর্ক যুগ যুগ ধরে টিকে থাকে যেন মানুষের হৃদয়ে। আমি আমার মায়ের কাছে 
চিরঋনী। আমার জীবনের নৈতিকতা, বুদ্ধি, এবং সকল শিক্ষা আমার মায়ের কাছে থেকে গ্রহন করেছি। জীবনে প্রথম সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা তোমার থেকে 
পেয়েছি মা। তোমাকে ভালোবাসার আমি খুব মুগ্ধতা পাচ্ছি মা। 

আমি জানি না, কার কাছে কেমন দিন আমার কাছে প্রতি টা দিন, সময়, মিনিট সেকেন্ড সেরা যত সময় মা কাছেই থাকে তখনই একটা শক্তি পাই। আমি 
যখন চুপ থাকি, কষ্ট পাই তখন মুখ টা দেখেই বলে, তোর কি হয়েছে বল আমার কাছে। সত্যি মা তুমি আমার সব থেকে কাছেই একটা বন্ধু। অসাধারণ 
মায়ের ভালোবাসার কাছেই পৃথিবীর সকল ভালবাসা হার মানে। ভালোবাসার মানুষদের জন্য প্রতিটা মূহুর্তে ভালোবাসা রয়ে যায়। ভালো থাকুক পৃথিবীর প্রতিটা মা!

এমআই


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল