শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

আড়াই বছর পেছনে ফিরে গেল শেয়ারবাজার

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
আড়াই বছর পেছনে ফিরে গেল শেয়ারবাজার


নিজস্ব প্রতিনিধি:


ফ্লোর প্রাইস তুলে নিলে কিছু শেয়ার হয়তো লেনদেনে ফিরবে। ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানির লেনদেন বাড়লে বাজারেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।শেয়ারবাজারের লেনদেনে গতি ফেরাতে তালিকাভুক্ত ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর (ফ্লোর প্রাইস) তুলে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সিদ্ধান্তটি কার্যকর হওয়ার প্রথম দিনে গত বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক সামান্য বাড়লেও লেনদেনে স্থবিরতা দেখা গেছে। ওই দিন ডিএসইতে লেনদেন হয় মাত্র ২২৭ কোটি টাকার।


লেনদেনের সেই স্থবিরতা নতুন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস গতকাল সোমবারও অব্যাহত ছিল। এদিন লেনদেন আরও কমে নেমে আসে ২০০ কোটির নিচে, ১৯৮ কোটি টাকায়। এটি ডিএসইতে গত আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন। এর আগে ২০২০ সালের ৭ জুলাই ডিএসইতে ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল।



২০২০ সালে করোনার কারণে দীর্ঘদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধও ছিল। লেনদেন বন্ধ থাকা অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বেও বদল ঘটে। এরপর থেকে লেনদেন ওঠানামার মধ্যে থাকলেও ২০০ কোটি টাকার নিচে নামেনি।


লেনদেনের পাশাপাশি গতকাল সূচকও কমেছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ১২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে নেমেছে। সব মিলিয়ে ডিএসইতে সোমবার ৩৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ১৩৭টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৬৭টির।


বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষক মোহাম্মদ মুসা বলেন, ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তরের কারণে বাজারে এখন ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারের বলতে গেলে তেমন কোনো লেনদেনই হচ্ছে না। 


যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক লেনদেনে। এ ছাড়া ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও বাজারে নিষ্ক্রিয়। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ফ্লোর প্রাইসের কারণে অনেকে সামর্থ্য থাকার পরও বিনিয়োগ করছেন না। তাঁরা আস্থার সংকট ও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।বাজারে লেনদেনে গতি আনতে গত বুধবার প্রথম ধাপে ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। সামগ্রিকভাবে বাজারে তার সুফল মিলছে না।


এসএম 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল