শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

মোরেলগঞ্জে খালে প্রভাবশালীর বাঁধ, ৬শ’ হেক্টর বোরো ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৩
মোরেলগঞ্জে খালে প্রভাবশালীর বাঁধ, ৬শ’ হেক্টর বোরো ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি প্রবাহমান খালে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। শত শত কৃষকের এখন ৬শ’ হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সোমবার সকালে ওই মাঠে বাঁধটি অপসারনের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ।

 সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ছোট কুমারখালী গ্রামজুড়ে চিংড়াখালী বলেশ্বর নদীর প্রবাহমান তালতলা খালের প্রশাখা কুমারখালী খাল। এ খালটির একদিকে পলিপড়ে ভরাট হয়ে গেছে। অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহের পূর্বে ওই গ্রামের মিন্টু হাওলাদার ব্যক্তিসার্থে খালে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। যে কারনে কুমারখালী, বৌলপুর, কিছমত বৌলপুর এ ৩টি মৌজায় বোরো ধানের প্রায় ১ হাজার বিঘার বড় ফসলের মাঠে পানি প্রবেশে বাঁধা হওয়ায় পুরো মাঠ ফেটে এখন চৌচির হয়ে পড়েছে। এতে ৩ গ্রামের ৮ শতাধিক কৃষক এখন তাদের জমিতে পানি তুলতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বোরো ধানের বীজতলা মরে যাওয়ার সম্ভাবনায় আতংকে রয়েছে তারা। মাঠের মধ্যে বিভিন্নস্থানে বোরো বীজ হলুদ রং ধারন করে শুকিয়ে যাচ্ছে বীজতলা। হাজার হাজার টাকা ব্যায় করে কৃষক তাদের বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারবে কিনা এ নিয়ে শংশয় রয়েছেন তারা।

ওই ফসলী মাঠের জমির মালিক আব্দুর রহিম ফকির, নোমান খন্দকার, শহিদ ফকির, বাবু হাওলাদার, মারুফ শিকদার, ছালাম ফকির, সাইদ ফকির, শহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান সহ একাধিক কৃষকরা বলেন, বছরে শুধুমাত্র বোরো ধানের ফসল ফলায় তারা। যা থেকে চাহিদা মিটিয়ে ৫০ থেকে ৫৫ মন ধান বাজারে ধান বিক্রি করে পুরো বছর পরিবারের সংসার চলে তাদের। কৃষকের বিঘাপ্রতি জমিতে খরচ হয়েছে ২০/২৫ হাজার টাকা। এখন বাঁধের কারনে প্রথম গোনে মাঠে পানি তুলতে পারেনি। এ গোনেও যদি পানি তুলতে না পারে তাহলে আর ফসল হবে না।  রেকর্ডীয় খাল কিভাবে বাঁধ দিয়ে এ ভোগান্তি করেছে আমাদের। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করেও কোন সমাধান হয়নি।
 
এ বিষয়ে মিন্টু হাওলাদার বলেন, ৪ বছর ধরে আমার জমি থেকে পানি তুলেছে। রেকর্ডীয় খালটি উত্তর পাসে। এ বছর আর পানি তুলতে দিবো না।  

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আকাশ বৈরাগী জানান, বোরো মৌসুমে কৃষক মাঠে পানি দিতে না পারলে বীজতলা সম্পূন্ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফসল হবে না। ওই গ্রামের বিষয়টি তিনি অবহিত নন। তবে, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পাঠানো হবে। বৃদ্ধমান সমস্যার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এমআই


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল