সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

নম্বর টেম্পারিংয়ের অভিযোগ, কুবি শিক্ষকের জিডি

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ৬, ২০২৩
নম্বর টেম্পারিংয়ের অভিযোগ, কুবি শিক্ষকের জিডি

মাহমুদুল হাসান, কুবি প্রতিনিধি:

ফেসবুকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে নম্বর টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তুলে করা পোস্টকে 'উস্কানিমূলক', 'সম্মানহানির অপচেষ্টা' ও 'মিথ্যা' দাবি করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বিভাগটির অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস। 

রবিবার (২ এপ্রিল) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় করা জিডিতে তিনি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্নের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং সুষ্ঠু তদন্তের আবেদন করার পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতার কথাও উল্লেখ করেন। 

জানা যায়, গত ৩০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'Comilla University' নামক ফেসবুক গ্রুপে করা বেনামী একাধিক পোস্টের সূত্র ধরে এই অভিযোগটি দায়ের করেন তিনি। ঐসকল পোস্টে লেখা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকের ব্যক্তি আক্রোশের কারণে পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়া হয়। 

তবে পোস্টগুলোর বিষয়কে স্পর্শকাতর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, "ফেইসবুক গ্ৰুপে উস্কানিমূলক ও সম্মানহানিকর ভুল তথ্য দিয়ে একটি বেনামী পোস্ট করা হয় যার বিষয় অত্যন্ত স্পর্শকাতর। যেহেতু উল্লেখিত ফেসবুক গ্ৰুপটি কয়েকজন এডমিন দ্বারা পরিচালিত সেহেতু আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ও আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার দায়ভার তাদের ওপর বর্তায়।" 

জিডিতে আরও বলা হয়, "ফোসবুক গ্ৰুপের এডমিন এবং বেনামি পোস্টদাতা মিথ্যাচারীদের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্নের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট বিশেষ অনুরোধ করছি।"

এদিকে বেনামি পোস্টে বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, বিভাগটির শিক্ষকরা কয়েকটা গ্রুপ ও গ্রুপে বিভক্ত। বনানী বিশ্বাসের অধীনে থিসিস না করায় তাদেরকে থিসিসে বি এবং সি প্লাস দেয়া হয়েছে এবং ভাইভাতে নাম্বার কম দেয়া হয়েছে।

এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী বিশ্বাস বলেন,  আমি কখনো কোনো শিক্ষার্থীকে আলাদা চোখে দেখি না, সবাই সমান। থিসিসের ভাইবার ক্ষেত্রে দুই জন এক্সটার্নাল ছিলো- একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্য জন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া আমার একা  হাতে ছিলো না। আমার নামে দেওয়া অভিযোগগুলো মিথ্যা।

তিনি আরও বলেন, "কোনো শিক্ষার্থী মাস্টার্সের থিসিসের রিটেন বা ভাইবাতে 'সি'/'সি+' পায়নি। ভাইবাতে মোট ষোলো জন শিক্ষার্থী ছিলো, যার মধ্যে 'এ+' কেউ পায়নি, একজন শিক্ষার্থী 'এ' পেয়েছে  এবং একজন 'বি' পেয়েছে । এছাড়াও বাকি চৌদ্দ জন তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী নম্বর পেয়েছে। অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী আমার উপর উদ্দেশ্যমূলকভাবে সম্মানহানি করার চেষ্টা করেছে।"

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল