স্পোর্টস ডেস্ক:
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে অপ্রত্যাশিত হারের পর সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খন্ডকালীন অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া লিটন দাস। আগে ব্যাট করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। এবং তাদের দুইজনের রেকর্ড গড়া জুটি ও ব্যাক্তিগত শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রান সংগ্রহ করে হাশমতউল্লাহ শহীদির দল।
সিরিজ জয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে টসে হেরে আজ ব্যাটিংয়ে নামেন দুই আগফান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ। টাইগারদের হয়ে বোলিং ইনিংসের সূচনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ওভারেই চমৎকার এক কভার ড্রাইভে চার মেরে আফগানিস্তানের রানের খাতা খোলেন গুরবাজ।
দেখেশুনে খেলতে থাকা দুই আফগান ওপেনার এদিন ৫০ রানের জুটি ছাড়িয়ে যায় আট ওভারেই। এরপর নবম ওভারে সাকিবের প্রথম বলেই আউট হতে পারতেন গুরবাজ। তবে লং অফে তাঁর তোলা ক্যাচ দৌড়ে এসেও তালুবন্দী করতে পারেননি তৌহিদ হৃদয়। ফলে দশ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান।
এদিকে আফগানদের হয়ে আজ শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিতে খেলতে থাকা ওপেনার গুরবাজ সাকিবের বলে ছয় মেরে পূরণ করেন নিজের ফিফটি। ৪৮ বলে ৬ চার এবং ৩ ছয়ে এ মাইলফলকে পৌছান তিনি। এ ব্যাটারের কাছে আজ পাত্তা পায়নি কোনো বোলারই। ম্যাচের ১৪তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে আসা মিরাজকেও লং অনে উড়িয়ে বিশাল এক ছয় মারেন তিনি। এরপর ১৫তম ওভারে হাসানের করা দ্বিতীয় বলে গুরবাজ বাউন্ডারির দেখা পেলে আফগানদের দলীয় সংগ্রহ একশ ছাড়িয়ে যাওয়ার সাত ওভার পরই দেড়শ রানের দেখা পায় আফগানিস্তান।
অন্যদিকে মারমুখী গুরবাজও তুলে নেন একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে নিজের চতুর্থ শতক, বাংলাদেশের বিপক্ষে যা তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১০০ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলতে ৬ টি ছয়ের সঙ্গে মারেন ৮ টি চার। গুরবাজের সঙ্গে সমান তালে এগোতে থাকেন আরেক ওপেনার জাদরান, পূরণ করেন নিজের ব্যক্তিগত ফিফটি।
ফলে আফগানিস্তানের দুই ওপেনার যেভাবে চোখ রাঙাচ্ছিলেন, বাংলাদেশি বোলাররা কিছুই করতে পারছিলেন না। অবশেষ বাংলাদেশ দলের আশার আলো দেখান টাইগার অলরাউন্ডার। ইনিংসের ৩৭তম ওভারে সেঞ্চুরিয়ান গুরবাজকে এলবিডব্লিউ করে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব। আউট হবার আগে এই ব্যাটার তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে ফেলেছেন। ১২৫ বলে তার ১৪৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটিতে ছিল ১৩ চার আর ৮টি ছক্কার মার।
এরপরে তিন রানের ব্যবধানে রহমত শাহক ফেরান। পরে তৃতীয় উইকেটে আসা আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদিও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকিতে পারেননি। দলীয় ২৬৬ রানে টাইগার অফস্পিনার মিরাজের বলে সুইপ করতে গিয়ে ২ রানে বোল্ড হন শহিদি। ফলে ১০ রানের ব্যবধানে আফগানিস্তানদের তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরেন বাংলাদেশ।
এমআই
