শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

আরো একবার, হার সাকিবদের

রোববার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
আরো একবার, হার সাকিবদের

খেলা ডেস্ক:



আরো একবার, হার সাকিবদের। ম্যাচের প্রথম ভাগে উজ্জ্বল ছিলেন টাইগার বোলাররা। কিন্তু পরে দলের একাট্টা ব্যাটিংটা দেখা গেল না একেবারেই। তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় লড়াই করলেন । কিন্তু শেষ পর্যন্ত হৃদয় ভাঙে টাইগার ভক্তদেরই। এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হার দেখলো বাংলাদেশ। গতকাল কলম্বোয় সম্ভাবনাময় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ২১ রানে হেরে যায় সাকিবের দল। রণসিংহে প্রোমাদাসা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে স্বাগতিকদের ২৫৭ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। জবাবে ১১ বল বাকি রেখে ২৩৬ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। তিনটি করে উইকেট নেন দাসুন শানাকা, মাতিশা পাতিরানা ও মহেশ থিকশানা।


সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল সাকিবের দল।এদিন দলীয় ৫৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের  ‘মেক শিফট ওপেনার’ মেহেদী হাসান মিরাজ। দাসুন শানাকার শর্ট লেংথের বলে পুল করতে গিয়ে টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি মিরাজের। ব্যাটে লেগে ক্যাচ যায় মিড উইকেটে। ২৯ বলে ২৮ রান করেন আসরে এর আগে সেঞ্চুরি পাওয়া মিরাজ। নাঈম শেখ যে ইনিংস খেললেন সেটা দেখতেও ধৈর্য লাগে! মিরাজের পর নাঈম শেখও মিডিয়াম পেসার শানাকার শিকার। শানাকার সাধারণ এক বাউন্সারে আসে আরো একটি উইকেট। 


মিরাজ তবুও পুল করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নাঈম বুঝেই উঠতে পারেননি শর্ট বলটা। ব্যাট সরিয়েও নিতে পারেননি, শেষ মুহূর্তে ব্যাট চালাতে গিয়ে খাড়া উপরে তোলেন ক্যাচ। ৪৬ বলে ২১ রানের ইনিংসটিতে নাঈম স্বচ্ছন্দ ছিলেন না একেবারেই। ম্যাচে নাঈমের স্ট্রাইক রেটও আলোচনার বিষয়। কমপক্ষে ৪০ বল স্থায়ী ইনিংসে এ শতাব্দীতে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কোনো ওপেনারের এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেট। ২০১২ সালে মিরপুরের ফাইনালে নাজিমউদ্দিন খেলেছিলেন ৫২ বলে ১৬ রানের ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ছিল ৩০.৭৬। পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে বাংলাদেশ সে ম্যাচ হেরেছিল ২ রানে। ওই ফাইনাল শেষে মুশফিক-সাকিবের কান্নার ছবি এখনও হৃদয় ছুঁয়ে যায় ক্রিকেটপ্রেমীদের।  


গতকাল ওপেনিংয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়েন নাঈম শেখ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে পরবর্তী ২৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় টাইগাররা। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক দাসুন শানাকার রিভিউয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে পরে লঙ্কানদের এক সফল রিভিউয়ে উইকেট হারান ৭ বলে ৩ রান করা সাকিব। পাতিরানার রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে অ্যাঙ্গেল করে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট চালিয়ে কট-বিহাইন্ড হন সাকিব। গ্রুপ পর্বে পাল্লেকেলেতেও পাতিরানার বলেই কট-বিহাইন্ড হয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। জ্বর থেকে ওঠা লিটন দাসকে এশিয়া কাপে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে কাজ হয়েছে বলা যাবে না। টানা  দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেটে থিতু হয়ে উইকেট খোয়ালেন এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার লিটন কুমার দাস। বাঁহাতি স্পিনার দুনিথ ওয়াল্লালাগের বলে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনে নামা লিটন। এর পর ৭২ রানের জুটি গড়ে টাইগারদের আশা ধরে রাখেন তাওহিদ হৃদয়-মুশফিকুর রহীম। কিন্তু অভিজ্ঞ মুশফিক ধৈর্য হারালে ফের বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। 



সময় জার্নাল/এস.এম



Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল