সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি শিক্ষার্থীদের জন্য গলার কাঁটা

সোমবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৩
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি শিক্ষার্থীদের জন্য  গলার কাঁটা

আবু হুরায়রা :

নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা। যখন যে যেভাবে পারছে নানান অজুহাতে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি করে চলছে, কখনো পণ্য সংকট আবার কখনো বিশ্ববজারের অজুহাতে। টালমাটাল এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরছি ।


মধ্যবিও হওয়াটাই যেন অপরাধ 

বর্তমান সময়ে মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিও সকলের কাছেই এক উদ্বেগের নাম নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, যার একমাত্র কারণ মূল্য বৃদ্ধি।  এখন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল, ডাল, তেল,চিনি থেকে শুরু করে সবজি, মাছ, মাংস,ডিম,দুধ  প্রত্যেকটি দ্রব্যের দাম আকাশচুম্বি। মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবারা আড়ালে কাঁদে।জীবনধারনের জন্য অপরিহার্য মৌলিক চাহিদাগুলো পূরন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে  । যেহেতু বেঁচে থাকার জন্য  খাদ্য গ্রহন করতেই হচ্ছে এবং তার মূল্যবৃদ্ধির হার এতটাই  উর্ধ্বগামী  যে সাধারন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।   অনতিবিলম্বে এই মূল্য বৃদ্ধির যথার্থ কারন খুঁজে এর সমাধানে সরকার সহ প্রত্যেকটি মানুষের তার নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা দরকার। 

সুমাইয়া আক্তার 

৩য় বর্ষ,ফার্মেসি বিভাগ

গণ বিশ্ববিদ্যালয়।


দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এক আতঙ্কের নাম 

আমার মত ব্যাচেলররা  এক মহা আতঙ্কময় সময় পার করছে দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতিতে।যেখানে আগে ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে গেলে মাছ,শাক-সবজি সবই কেনা সম্ভব  হতো এখন সেখানে  এই  টাকার বাজারে মাছের স্থান কোনভাবেই রাখা সম্ভব হচ্ছে না।আর যদিও কখনো মাছ কেনা হয় তখনও অপ্রিয় পাঙ্গাশ বা তেলাপিয়াই কিনতে হয়।কারন শুধুমাত্র একটাই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। মাসের শেষের দিকে একপ্রকার না খেয়েই থাকতে হয় কখনো কখনো।এটি এখন জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়ছে।এই সমস্যার পরিত্রাণ পাওয়া না গেলে আমার মতই অসংখ্য মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জন্য বেঁচে থাকাই দায় হয়ে যাবে। 

মারুফ রেদোয়ান 

৩য় বর্ষ,ভেটেরিনারি অনুষদ 

গণ বিশ্ববিদ্যালয় 


কবে ফেলবো সস্তির নিস্বাস 

বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আমাদের মত মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের  যারা বাইরে থাকি বা হোস্টেলে থাকি তাদের জন্য খুবই সমস্যা। যেমন  আগে মাছ মাংস এর পাশাপাশি সপ্তাহে একবার দুধ ও ডিম খেতাম। কিন্তু এখন তাও সম্ভব হচ্ছে না।আলু, পেয়াজ থেকে শুরু করে সব রকম সবজি  দাম বাড়তি। আগে বাবা বাসায় থেকে  ৫০০০ টাকা দিতো আর আমি টিউশনি করিয়ে ২০০০ টাকার মতো পেতাম যা দিয়ে আমার অনায়াসে চলে যেত। কিন্তু এখন তা সম্ভব হচ্ছে না সিলিন্ডারের দাম বাড়তি, বিদ্যুৎ বিল বেশি আসতেছে,খাবারের দাম বাড়তি সব মিলিয়ে জীবনযাত্রার মান নিম্নমুখি হচ্ছে। যেভাবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি হচ্ছে সামনের দিনগুলো কিভাবে কাটবে তা শুধুমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালাই জানেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। 

 তানিয়া তাসনিম 

২য় বর্ষ,সিএস ই বিভাগ 

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি 


দ্রব্যমূল্য এক লাগামহীন ঘোড়া  

প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে সব ধরনের খরচ মেটাতে পারছি না। কোনো কিছু দাম মাসে শুরুতে যা থাকে শেষে তার দাম বৃদ্ধি পায় অনেকটা। নির্দিষ্ট একটি হিসাব নিয়ে বাজার থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করে আশা সম্ভব হয় না। ভ্রমণ ব্যায় ও পোশাক ব্যাবদ ব্যায় কমিয়েছি। জ্বালানির দামবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পরিবহন ব্যয়, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে পরিবার আজ হিমশিম খাচ্ছে। গত এক বছরে ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা কমলেও আন্যান্য আমদানিভিত্তিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো ভোক্তা স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব দেখেননি।রাজনৈতিক দল গুলো আছে তাদের নির্বাচন নিয়ে, এদিকে আমাদের মত মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন  উন্নয়নের চাপে নিষ্পেষিত হচ্ছে। নিকট ভবিষ্যতে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে অনেক বেশি চিন্তায় আছি। বুঝতেও পারতেছি না সামনের দিনগুলি কেমন কাটবে। 

মেহেদী হাসান রাসেল 

৪র্থ বর্ষ,সিএস ই বিভাগ 

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি


সময় জার্নাল/এস.এম



Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল