রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

শনিবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

স্পোর্টস ডেস্ক:
 
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার। তবে বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি ছিল অনেকদিক দিয়ে গুরুত্ববহ। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোই শুধু নয়, ইতিহাস গড়ার হাতছানিও যে ছিল!

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতলেও এর আগে কখনই সীমিত ওভারে (ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি) জয় দেখেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সেই জয় ধরা দিলো ওয়ানডে ফরম্যাটে। কিউইদের মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেট আর ২০৯ বল হাতে রেখে জিতেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এতে সফরকারীরা তিন ম্যাচ সিরিজ শেষ করেছে ২-১ ব্যবধানে হেরে।

ছোট রান তাড়ায় সৌম্য সরকার আর এনামুল হক বিজয় আত্মবিশ্বাসী শুরু করেন। তবে তারা ১৫ রান তোলার পর সৌম্যকে ফিরতে হয় চোখে কিছু একটা পড়ে সমস্যা হওয়ায়। ৪ রান করে উঠে যান সৌম্য।

এরপর মারমুখী ব্যাটিং শুরু করেন বিজয় আর নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫০ বলের জুটিতে ৬৯ রান তুলে তারা জয় বলতে গেলে নিশ্চিত করে ফেলেন। জয় থেকে ১৫ রান দূরে থাকতে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে আসেন বিজয়। ৩৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।

অধিনায়ক শান্ত জয়সূচক রান নেওয়ার পাশাপাশি ফিফটিও পূরণ করেন। ৪২ বলে ৮ চারের সাহায্যে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন দাস।

বোলাররাই জেতার অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম, সৌম্য সরকারদের তোপে ৩১.৪ ওভারে ৯৮ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই তাদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।

সাফল্য পেতে বেশি সময় লাগেনি। কিউই ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে তিনি সাজঘরে ফেরান রাচিন রাবিন্দ্রকে। ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করে তানজিম সাকিব বিভ্রান্ত করেন নিউজিল্যান্ড ওপেনারকে।

সাকিবের মিডলে পিচ করা বলে ব্যাট ছুঁইয়ে রাচিন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন ১২ বলে ৮ করে। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

এরপর অষ্টম ওভারে সাকিবের বাউন্সে পুল করতে গিয়ে মিসটাইমিংয়ে মিডঅনে দাঁড়ানো শান্তর হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন হেনরি নিকোলস (১২ বলে ১)। ২২ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তানজিম সাকিব নিজের প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ১ মেইডেনসহ মাত্র ৯ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট।

নিজের পরের দুই ওভারে আরও দুই উইকেট তুলে নেন শরিফুল। ১৯তম ওভারে আরেক সেট ব্যাটার ইয়ংকে ফেরান বাঁহাতি এই পেসার।গালিতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন ইয়ং। ৪৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান।

২১তম ওভারে শরিফুলের শিকার মার্ক চ্যাপম্যান। ২ রান করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন কিউই ব্যাটার। ২৩তম ওভারে আবার তানজিম সাকিবকে আক্রমণে ফেরান শান্ত। এবার প্রথম বলেই উইকেট। টম ব্লান্ডেল (১৭ বলে ৪) ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজের হাতে। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।

স্বীকৃত ব্যাটারের মধ্যে ছিলেন কেবল জর্জ ক্লার্কসন। তবে উইকেট ধরে রাখতে চেয়েও পারেননি তিনি। পার্টটাইমার সৌম্য সরকারের বলে ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হন এই ব্যাটার, ২৩ বলে তিনি করেন ১৬ রান।

ক্লার্কসনকে তুলে নেওয়ার পর কিউইদের লেজটা ছেঁটে দিয়েছেন সৌম্যই। শেষ উইকেটের তিনটিই নেন এই অলরাউন্ডার। মোস্তাফিজুর নেন শেষ উইকেটটি।

শরিফুল ৭ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। সমান ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট তানজিম হাসান সাকিবের। সৌম্য সরকার ৬ ওভারে ১৮ রান খরচায় নেন ৩টি।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল