সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

দেশে পাঁচ বছরে বাইক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৫৫ শতাংশ

শনিবার, জানুয়ারী ২৭, ২০২৪
দেশে পাঁচ বছরে বাইক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৫৫ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেপরোয়া গতির কারণে দেশে কয়েক বছর ধরেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর-তরুণদের মৃত্যুর ঘটনা বেশি বলে দাবি বেসরকারি সংস্থা- রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের। সংগঠনটি বলছে, গত পাঁচ বছরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার বেড়েছে ১৬ শতাংশ। আর এসব দুর্ঘটনায় মৃত্যু হার বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৮১ শতাংশ।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে ‘২০২৩ সালের সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ ও পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এবং কানাডা রিচার্স ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।


সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৩ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে দুই হাজার ৫৩২টি। এতে নিহত হয়েছেন দুই হাজার ৪৮৭ জন এবং আহত হয়েছেন এক হাজার ৯৪৩ জন। নিহতদের মধ্যে এক হাজার ৯০৯ জন (৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ) ১৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী।

২০১৯ সালে ১ হাজার ১১৮৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ৯৪৫ জন। ২০২০ সালে ১ হাজার ৩৮১টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১ হাজার ৪৬৩ জন। ২০২১ সালে ২ হাজার ৭৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিল ২ হাজার ২১৪ জন। ২০২২ সালে ২ হাজার ৯৭৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিল ৩ হাজার ৯১ জন। যদিও ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ও মৃত্যু সংখ্যা কমেছে।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার বিশ্লেষণ- অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে (৫৭২টি) ২২ দশমিক ৫৯ শতাংশ, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে (৯০৪টি) ৩৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, মোটরসাইকেলে ভারি যানবাহনের চাপা ও ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে (এক হাজার ২৫টি) ৪০ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং অন্যান্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে (৩১টি) এক দশমিক ২২ শতাংশ। ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ (৯১৭টি) দুর্ঘটনার জন্য মোটরসাইকেল চালক এককভাবে দায়ী ছিল।

দুর্ঘটনার জন্য বাসের চালক দায়ী ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ, (২৬১টি), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি চালক দায়ী ৪০ দশমিক ৯১ শতাংশ (এক হাজার ৩৬টি), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস চালক দায়ী দুই দশমিক ৭২ শতাংশ (৬৯টি), থ্রি-হুইলার চার দশমিক ২৬ শতাংশ (১০৮টি), বাইসাইকেল, প্যাডেল রিকশা, রিকশাভ্যান চালক দায়ী শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ (১৩টি), পথচারী দায়ী তিন দশমিক ৮৩ শতাংশ (৯৭টি) এবং অন্যান্য কারণ দায়ী এক দশমিক ২২ শতাংশ (৩১টি)।

২৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ (৭৪৪টি) মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে, ৪১ দশমিক ৫৮ শতাংশ (এক হাজার ৫৩টি) ঘটেছে আঞ্চলিক সড়কে, ১৭ দশমিক ১৪ শতাংশ (৪৩৪টি) ঘটেছে গ্রামীণ সড়কে এবং ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ (৩০১টি) দুর্ঘটনা ঘটেছে শহরের সড়কে।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ছয় হাজার ৯১১টি। নিহত হয়েছেন ছয় হাজার ৫২৪ জন এবং আহত হয়েছেন ১১ হাজার ৪০৭ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৯৭৪ জন (১৪ দশমিক ৯২ শতাংশ), শিশু এক হাজার ১২৮ জন (১৭ দশমিক ২৯ শতাংশ)। দুই হাজার ৫৩২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত দুই হাজার ৪৮৭ জন, যা মোট নিহতের ৩৮ দশমিক ১২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। দুর্ঘটনায় এক হাজার ৪৫২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৪২ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এই সময়ে ১০৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৪৮ জন নিহত, ৭২ জন আহত এবং ৪৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ট্রলার ডুবে ৩৩টি গরুর মৃত্যু ঘটেছে। ২৮৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩১৮ জন নিহত এবং ২৯৬ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

আরইউ


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল