সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে 'নদী বিজ্ঞান' নামে বিভাগ খোলার আহ্বান

সোমবার, জানুয়ারী ২৯, ২০২৪
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে 'নদী বিজ্ঞান' নামে বিভাগ খোলার আহ্বান

মো. জাহিদুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) "বাঁচলে নদী, বাঁচবে দেশ, বাঁচবে অস্তিত্ব। নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও, অস্তিত্ব বাঁচাও" শ্লোগানকে সামনে রেখে 'প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ-পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি'র মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সেমিনার কক্ষে সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আর রাজির সঞ্চালনায় এই মুক্ত আলোচনা শুরু হয় । 

আলোচনা সভায় প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ-পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যার জন্মই হয়েছে নদীর অববাহিকায়। বাংলাদেশে মোট নদীর সংখ্যা সরকারি হিসাব মতে ৪০৫ টি। প্রকৃতপক্ষে এর মূল সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি। ২৬ মাইল দীর্ঘ হবিগঞ্জ বানিয়াচংয়ের শুটকি নদীর মালিকানা ১৯৭৩ সালে এক ব্যক্তিকে দিয়ে দেওয়া হয় ৭২ সালের মামলার প্রেক্ষিতে। এখন পর্যন্ত ঐ নদীর মালিকানা ঐ ব্যক্তির নামেই রয়েছে। এদিকে ২৭০০ কোটি টাকা ব্যায়ে বুড়িগঙ্গা নদীকে খনন করার প্রকল্প নিয়েছে সরকার। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমান অসুস্থ পরিবেশে এসেও যদি আমরা সিদ্ধান্ত না নেই সুন্দর পৃথিবী গড়ার, তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম নিঃশ্বাস পর্যন্ত নিতে পারবেনা। নদীর রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যায় ব্যক্তি পর্যায় থেকেই শুরু করতে হবে। এ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। 

যুবসমাজকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, উত্তরের হাওয়ায় গণতন্ত্র ভেসে আসবে, আমাদের এই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। যেই যুবক চিন্তা করে রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন হয় তাদের আমাদের প্রয়োজন নেই। পক্ষান্তরে যেই যুবক সমাজ পরিবর্তনের মাধ্যমে রাজনীতির পরিবর্তন হবে এই চিন্তা করে তাদেরকেই আমাদের প্রয়োজন। 

বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোখলেছুর রহমান বলেন, বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে দেশ ছাড়ার প্রবণতা খুবই বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশ নদীর তীরে বাড়ি রয়েছে অনেকের। অল্প একটু জায়গার জন্য আমরা নদীর তীর ভরাট করছি। শিল্পকারখানাগুলো পোষাক উৎপন্ন করএ বর্জ্য দিয়ে ভরে ফেলছে নদীগুলো। তুরাগ, বুড়িগঙ্গা এগুলোর চাক্ষুষ প্রমাণ। এগুলোর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। 

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি নদীগুলোর সঠিক ব্যবহার করতে পারতাম তাহলে এত বড় বড় উড়াল সেতু তৈরি করতে হতো না। অদূর ভবিষ্যতে এই উড়াল সেতুগুলোই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে। খুবই আক্ষেপের বিষয় হলো আমাদের দেশে এতো এতো ফ্যাকাল্টি, ডিপার্টমেন্ট রয়েছে কোথাও নদী কেন্দ্রিক কোনো ডিপার্টমেন্ট বা পড়াশোনা নেই বললেই চলে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অতি শীগ্রই 'নদী বিজ্ঞান' নামে বিভাগ খোলার আহ্বান জানাচ্ছি। 

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও ব্রহ্মপুত্র রিভারকিপার ইবনুল সাঈদ রানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ডেপুটি ডিরেক্টর নাজির আহমেদ সিমাব। 

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল