সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

চালু হচ্ছে আরেকটি নৌপথ, খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার

রোববার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৪
চালু হচ্ছে আরেকটি নৌপথ, খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার

জেলা প্রতিনিধি:

ভারতের মুর্শিদাবাদ থেকে বাংলাদেশের গোদাগাড়ী পর্যন্ত পণ্য আনা-নেওয়া হতো দেশ স্বাধীনের আগে। সেসময় পূর্ব বাংলা থেকে পাঠানো হতো পাট ও মাছ। ভারত থেকে আসতো বিভিন্ন পণ্য। ৫৯ বছর পর আবারও এই নৌপথে শুরু হচ্ছে বাণিজ্য। নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে ১২ ফেব্রুয়ারি। ফলে বাণিজ্যে সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে।

জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগ পর্যন্ত সুলতানগঞ্জ-ময়া ও গোদাগাড়ী-ভারতের লালগোলার মধ্যে নৌপথে বাণিজ্য কার্যক্রম চালু ছিল, যা যুদ্ধের সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়। এত বছর পর নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে।

বাংলাদেশের পদ্মা-মহানন্দার মোহনায় চালু হচ্ছে এ রুট। আপাতত প্রতিদিন এ রুট দিয়ে পাঁচটি জাহাজ আসবে। পরে এটি বাড়ানো হবে। এ রুটে দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। তাই খরচও কমবে।

বিআইডব্লিউটিএর তথ্য মতে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয় রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ আর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ধুলিয়ান নৌরুটে বাণিজ্য চালুর। রাজশাহী থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার একটি নৌপথের অনুমোদন থাকলেও পদ্মার নাব্য সংকটের কারণে কার্যকর করা হয়নি। ফলে রুটটি সংক্ষিপ্ত করে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদের ময়া নৌবন্দর পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে ২০ কিলোমিটার পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া হবে। সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর চালু হলে এ পথে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার ময়া নৌবন্দরের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরু হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে এই পথে ভারত থেকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল, পাথর, মার্বেল, খনিজ বালু ছাড়াও খাদ্য সামগ্রী আসবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে বস্ত্র, মাছ, পাট ও পাটজাত পণ্য ছাড়াও কৃষিপণ্য ভারতে যাবে। এসব পণ্য মূলত বিভিন্ন স্থলবন্দরের মাধ্যমে সড়ক ও রেলপথে আমদানি করা হয়। তবে সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরের মাধ্যমে এসব পণ্য ভারত থেকে আমদানিতে সময় ও খরচ বহুলাংশে কমে যাবে। এতে উপকৃত হবেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্ট তথ্য মতে, ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত নৌপ্রটোকলের আওতায় ২০২০ সালের অক্টোবরে সুলতানগঞ্জ-ময়া নৌপথটি চালুর কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে পিছিয়ে যায়। সুলতানগঞ্জ নৌঘাটটি রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়ক থেকে মাত্র এক কিলোমিটার ভেতরে পদ্মা-মহানন্দার মোহনায় অবস্থিত। সারাবছর সুলতানগঞ্জ পয়েন্টে পদ্মায় গভীর পানি থাকে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের ময়া নৌঘাটটি মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমা শহরের কাছে ভারতীয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত। ফলে সুলতানঞ্জ-ময়া পথে নৌবাণিজ্য শুরু হলে পরিবহন খরচ অনেকাংশে কমবে।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল