রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

'অন্যায়ভাবে' বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের প্রতিবাদ কুবি শিক্ষক সমিতির

সোমবার, মে ৬, ২০২৪
'অন্যায়ভাবে' বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের প্রতিবাদ কুবি শিক্ষক সমিতির

শারমিন আক্তার কেয়া, কুবি প্রতিনিধি : 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনের জন্য সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের মতো 'বিতর্কিত সিদ্ধান্ত' এবং 'মিথ্যা তথ্য' প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদ জানিয়েছে কুবি শিক্ষক সমিতি। গত শনিবার (৪ মে) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'শিক্ষক সমিতির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২৮ এপ্রিলে দাবি আদায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের সময় মাননীয় উপাচার্য ও ট্রেজারারের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, আইকিউএসি পরিচালকসহ কতিপয় বিপথগামী শিক্ষক সরাসরি শিক্ষকদের উপর প্রাণঘাতী হামলা করে।

উপাচার্য নিজে শিক্ষকদের শারিরীক আঘাত করেন এবং পরবর্তী সময়ে উপাচার্য তাঁর দপ্তর থেকে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে শিক্ষকদের উপর হামলা করান। এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলায় অংশগ্রহণ করার পর একজন উপচার্য বা ট্রেজারার নৈতিকভাবে তাঁদের প্রশাসনিক পদে বহাল থাকার যোগ্যতা হারান। এমনকি, শিক্ষকদের উপর সরাসরি হামলার মাধ্যমে উক্ত উপাচার্যের সাথে শিক্ষকদের আলোচনার সব ধরনের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গত ৩০ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৯৩তম (জরুরী) সভায় যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে সে সকল সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে এবং এ হামলার সুষ্ঠু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছে।'

বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে এবং শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য উপাচার্য ও ট্রেজারারকে প্রত্যাহার করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত, হামলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত, সন্ত্রাসী হামলায় অংশগ্রহণকারী সাবেক শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট বাতিল ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রদান এবং আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে শিক্ষক সমিতি।'

এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, 'হলগুলোতে অস্ত্র ও টাকা ঢুকেছে এমন মিথ্যাচার করে উনি (ভিসি) সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। উনি উনার বক্তব্য প্রত্যাহার করে, সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই।'

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল