তানভীর আহমেদ, কুয়েট:
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের অবনতির কারণে ক্লাস শুরুর অনেকটাই অনিশ্চিত। সর্বশেষ সিন্ডিকেট মিটিং এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ এপ্রিল ক্লাস পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচার হওয়ার আগে শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত গত ফেব্রুয়ারি মাসে ছাত্রদলের কুয়েটে কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সাথে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে ১৫০ এর অধিক শিক্ষার্থী হতাহত হয়। যার ফলে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। একপর্যায়ে ছাত্ররা সাবেক উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষকে সাময়িক অবরুদ্ধ করে রাখে, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য।
পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর ড এম এ হাশেম, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং এর অভিযোগ আনেন। এ প্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতি, অধ্যাপক ড আবদুল্লাহ আল ফারুককে সভাপতি করে ৫ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে যারা ঘটনা সমূহের প্রমাণ সংগ্রহ করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করছেন।
অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রাহাতুল ইসলাম (২০ ব্যাচ) বলেন, “আমরা এরই মধ্যে বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের দপ্তরে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছি। আজ আবারও শিক্ষকদের কাছে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করব। আমাদের আন্দোলন ছিল উপাচার্যবিরোধী, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের দাবি, বিচার এবং ক্লাস একই সাথে চলমান থাকুক।”
এদিকে অন্য একজন শিক্ষার্থী ক্লাস শুরু ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু নিয়ে তার উৎকণ্ঠার কথা জানিয়েছেন।
এমআই