মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি :
জামালপুরের সদর উপজেলার শরীফপুরে জেন্ডার ইনক্লুসিভ মার্কেট সিস্টেমস ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন (GESMIN) প্রকল্পের উদ্যোগে দিনব্যাপী এক পুষ্টি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) সকাল থেকে দিনব্যাপী শরীফপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় কমিউনিটির সদস্য, মা, শিশু এবং কিশোরীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মেলায় অংশগ্রহণকারীদের পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানো হয়। এর মধ্যে ছিল খাদ্য নিরাপত্তা, অনিরাপদ হওয়ার কারণ, খাদ্য নির্বাচন ও ক্রয়, সংরক্ষণ, তৈরি এবং পুষ্টিকর উপায়ে রান্না বিষয়ক আলোচনা। মেলায় মোট ৪টি স্টল সাজানো হয়েছিল, যেখানে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়:পারিবারিক পুষ্টি ও সুষম খাবার, নিরাপদ খাদ্য কর্নার, কিশোরী পুষ্টি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নারী-পুরুষের সমতায় পুষ্টির প্রভাব ও প্রকল্পের পরিচিতি।
প্রচারণা সভায় শরীফপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের ইনচার্জ-হেলথ ইন্সপেক্টর বিলকিস পারভীন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ জেসমিন প্রকল্পের কমিউনিকেশন ও এডভোকেসি স্পেশালিষ্ট মো. কওনান মুরসালিন এবং পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নাহিদা ইসলাম আখিঁ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পুষ্টি অফিসার সিমসাং ফ্রিং চাম্বুগং।
জেসমিন প্রকল্পের কমিউনিকেশন ও অ্যাডভোকেসি স্পেশালিস্ট মো. কওনান মুরসালিন 'Five Zero Plus' এবং 'ENOUGH' ক্যাম্পেইন-এর অংশ হিসেবে 'Global May Moment-2025 - Nourish 2 Flourish (পুষ্টি থেকে সমৃদ্ধ হও)' প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৫ কে সামনে রেখে পুষ্টিকর খাদ্যের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন যে, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, এবং অপুষ্টি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে। ENOUGH ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে।
মেলায় অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে এবং একটি সুস্থ, সবল ও পুষ্টিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন। আলোচনার শেষে খাজা বাবা সত্য বাউল সংঘ নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সম্পর্কিত জামালপুরের লোকসংগীত পরিবেশন করে।
উল্লেখ্য, জেসমিন প্রকল্প ২০২৩ সাল থেকে জামালপুর জেলার ৪টি উপজেলা (সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর এবং দেওয়ানগঞ্জ) কাজ করছে। এটি মূলত অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সহায়তায় অস্ট্রেলিয়ান এনজিও কো-অপারেশন প্রোগ্রামের (ANCP) মাধ্যমে বাস্তবায়িত এনএসভিসি প্রকল্পের (২০১৮-২০২৩) বর্ধিত অংশ।