নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে আপিল বিভাগের সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ হয়েছে। এই রায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১ জুন) বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ সই করার পর সংক্ষিপ্ত রায় ইসিতে পাঠানো হয়।
এর আগে সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া দাঁড়িপাল্লা প্রতীকেই নিবন্ধন হবে কি না সেই সিদ্ধান্তও ইসি নেবে।
দুপুরে জামায়াতের নিবন্ধন ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত জামায়াতের নিবন্ধন এবং প্রতীকের ব্যাপারে আমরা কোনো পর্যবেক্ষণ পাইনি। পর্যবেক্ষণ পাওয়ার পরে আইনগতভাবে যেটা প্রযোজ্য সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইসি সচিব বলেন, জামায়াতের প্রতীকের ব্যাপারে আইনগতভাবে যেটা প্রাপ্য সেভাবেই পাবে। প্রতীকের ব্যাপারে তাদের নিবন্ধনের ব্যাপারে কী পর্যবেক্ষণ আছে, ডকুমেন্ট না থাকলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমার কিছু বলার থাকে না।
২০১৩ সালে হাইকোর্ট এক রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন। সেই রায়ের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে দেয়। তবে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন দলটির আইনজীবীরা।
গত বছর ১ আগস্ট ছাত্র-কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জামায়াতের সম্পৃক্ততা দেখিয়ে দলটিকে নিষিদ্ধ করেছিল তৎকালীন সরকার। কিন্তু ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দলটি ফের প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে, যদিও তখনও তাদের নিবন্ধন ছিল না।
জামায়াতের আইনজীবীরা শুরু থেকেই বলছিলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন যেভাবে দলটিকে সাময়িক নিবন্ধন দিয়েছিল, তা ছিল আইনসিদ্ধ। আজকের রায়ে সেই যুক্তিই আদালত গ্রহণ করেছে বলে দাবি তাদের।