নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়রের দায়িত্ব পালনের দাবিতে নগর ভবন অবরুদ্ধ করে রাখা বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন স্বেচ্ছায় না সরলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নতুন নির্বাচনের পথে হাঁটবে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’তে উপদেষ্টা পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে উপস্থিত একাধিক উপদেষ্টা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সরকারের ৯ জন উপদেষ্টা অংশ নেন। বৈঠকে ইশরাকের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। বিশেষ করে শপথ না নিয়েই মেয়রের ‘দায়িত্ব’ পালন এবং নগর ভবন অচল করে রাখায় উপদেষ্টারা ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেন। অনেকে সরকারপ্রধানকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারও পরামর্শ দেন।
বৈঠকে উপদেষ্টারা জানান, সরকার ইতোমধ্যেই ইশরাকের কর্মকাণ্ডে ভীষণভাবে বিরক্ত। একাধিক উপদেষ্টা বলেন, নাগরিক সেবা বন্ধ করে রেখে তিনি নগরবাসীর দুর্ভোগ বাড়িয়েছেন। সেইসঙ্গে সরকারের কর্তৃত্বকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উঠে আসে।
তবে বিএনপির সঙ্গে সরকারের সাম্প্রতিক আস্থার সম্পর্ক এবং লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহার এখনই না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আশঙ্কা করা হয়, ইশরাকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে তিনি রাজনৈতিকভাবে সহানুভূতি পেতে পারেন।