আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে সরকার পরিবর্তনের পক্ষে ইঙ্গিত দিয়েছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাকে তেহরানের নেতৃত্ব পরিবর্তনের সূচনা নয় বলে মন্তব্য করার মাত্র দুই ঘণ্টা পরই এ ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, "'শাসক পরিবর্তন' শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা রাজনৈতিকভাবে সঠিক নয়। কিন্তু ইরানের বর্তমান শাসনব্যবস্থা যদি ইরানকে আবার মহান করতে না পারে, তাহলে শাসক পরিবর্তন হবে না কেন??? এমআইজিএ!!!' [এমআইজিএ: মেইক ইরান গ্রেট অ্যাগেইন।]
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ যখন জোর দিয়ে বলেছিলেন, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়ার লক্ষ্য কোনোভাবেই শাসন পরিবর্তন নয়, ঠিক সেই মুহূর্তেই এই পোস্ট করলেন ট্রাম্প।
এর আগে রোববারই পেন্টাগনে সাংবাদিকদের হেগসেথ বলেন, 'এই মিশনের লক্ষ্য কখনোই শাসন পরিবর্তন ছিল না, এখনও নয়।'
এছাড়া ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও-ও ফের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও কূটনৈতিক পথেই অগ্রসর হতে চায়। তারা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি—তাদের লক্ষ্য কেবল তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি।
ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তির অঙ্গীকার খামেনির
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি অঙ্গীকার করেছেন, ইসরায়েলকে 'শাস্তি দেওয়া অব্যাহত থাকবে'। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেওয়ার পর এটি তার প্রথম প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া।
এক এক্স পোস্টে দেওয়া বিবৃতিতে খামেনি বলেন, 'জায়নবাদী শত্রু এক বিরাট ভুল করেছে, এক গুরুতর অপরাধ করেছে। এর শাস্তি তাকে পেতেই হবে এবং সে শাস্তি পাচ্ছেও। ঠিক এই মুহূর্তেই তাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।'
ওই পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও জুড়ে দেওয়া হয়, যেখানে জ্বলন্ত ভবনের পটভূমিতে 'স্টার অভ ডেভিড' (ইহুদিদের প্রতীক) খচিত একটি জ্বলন্ত মাথার খুলি দেখানো হয়েছে।
এমআই