তালুকদার হাম্মাদ, ইবি প্রতিনিধি:
ভর্তিতে সকল ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৪জুন) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। এসময় অনতিবিলম্বে, অযৌক্তিক সকল কোটা বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ‘কোটার প্রহসন দূর করতে হবে’, ‘প্রশাসন কি আবারো রক্ত দেখতে চায়’, ‘এই কোটার জন্যই কি রক্ত ঝরালাম’, ‘সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথার কবর দে’, ‘রক্তাক্ত জুলাই এর সাথে বেইমানি’, ‘কাদের স্বার্থ রক্ষায় এখনো কোটা’, ‘কোটা বিলুপ্তিতে আবারো রক্ত দেব’সহ বিভিন্ন প্লাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বারবার কোটা বন্ধের যৌক্তিক দাবি জানানোর পরেও বর্তমান প্রশাসন কেন দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে? প্রশাসন কি এতটাই অযোগ্য ও দুর্বল যে এমন একটি অনৈতিক কোটা প্রথা বিলুপ্ত করার সাহসটুকুও তাদের নেই? নাকি কোটার মতো এই বাটপারি পদ্ধতির সুবিধাভোগী কোনো শক্তিশালী চক্রের কাছে তারা জিম্মি? তাদের এই রহস্যজনক ভূমিকা আজ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে তীব্র ক্ষোভ ও অনাস্থার জন্ম দিয়েছে। তারা কি আসলেই শিক্ষার্থীদের পক্ষে। নাকি কোনো অদৃশ্য শক্তির স্বার্থ রক্ষা করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। অনতিবিলম্বে অযৌক্তিক কোটা বাতিল না করলে আমরা কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।
এছাড়াও এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমাদের জুলাই অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল কোটা প্রথার বিরুদ্ধে। কিন্তু এতোগুলো ভাইয়ের শাহাদত বরণের পরেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে কোটা প্রথা বহাল থাকে? আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকল ধরনের কোটা প্রথার বিলুপ্তি চাই। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা রাখা রেখে অন্য কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। যদি কোটা বাতিল করা না হয় তাহলে আগামীদিনে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন বন্ধ করে দিবো। আগামীকালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এর বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।