ইসাহাক আলী, নাটোর প্রতিনিধি:
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, বিএনপি কখনো কোন গুম হত্যা সন্ত্রাস প্রশ্রয় দেয় না ভবিষ্যতেও দিবে না। গুম হত্যা সন্ত্রাস যেই করুক তাদের দ্রুত আটক করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ঢাকার রাস্তার ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান এদের সকলকে স্থায়ী ভাবে দল থেকে বহিস্কার করার সিন্ধান্ত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে, বিএনপিকে বিতর্কিত করার জন্য, চাঁদাবাজ বানানোর জন্য, বিভিন্ন ভাবে বিএনপির ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য। যেভাবে ১৫ বছর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে ঠিক সেভাবেই সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই, বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না।’
দুলু বলেন, ‘যারা নির্যাতিত তারা মজলুম। তাই বিএনপি’র প্রতিটা নেতাকর্মীই মজলুম।’
শনিবার দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে গনঅভ্যুত্থান ও শহীদ এর স্বরণে জেলা জাতীয়তাবাদী পরিবহন শ্রমিক দল আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নাটোর জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু রায়হান ভুলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারী সভাপতি রফিকুল ইসলাম, নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজ, জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বুলবুল, ট্রাক ট্যাংকলরী ও কার্ভাডভ্যানের সভাপতি আব্দুল জলিল, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন ও সাইফুল ইসলাম আফতাব, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম ও শেখ এমদাদুল হক আল মামুন প্রমুখ।
দুলু আরো বলেন, গত সাড়ে ১৫বছর আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতন, হত্যা গুমে অতিষ্ট হয়ে এদেশের ছাত্র-জনতা শ্রমিক কৃষকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ পথে নেমে এসে গত ৫আগস্ট আওয়ামী লীগকে বিদায় করেছে, তাদের পতন হয়েছে। আমরা সফলকাম হয়েছি। সেই
আন্দোলনে দেশের শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ন ভ‚মিকা পালন করেছে। শেখ হাসিনা হাসপাতালে গিয়ে সেদিন আহতদের চিকিৎসা না করার জন্য চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছে। অথচ সেদিন ঢাকার সাধারণ রিকশাওয়ালারা জীবন বাজী রেখে আহত নিহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ও অন্তবর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনুস আলীর মধ্যে বৈঠকের পর নির্বাচন বিষয়ে দেশের মানুষ একটা আশার আলো দেখতে পেয়েছে। এখন নতুন করে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করা হয়েছে। কোন কোন দল পি আর পদ্ধতি নির্বাচন চায়, কিন্তু দেশের মানুষ পি আর নয়, ফেয়ার নির্বাচন চায়।