আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্যে। রাশিয়াকে সরাসরি ৫০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “রাশিয়া যদি আগামী ৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে আমরা বড় আকারের নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেবো।”
স্থানীয় সময় সোমবার ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প। পরদিন (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড বিষয়টি তুলে ধরে।
ট্রাম্প দাবি করেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কোনোভাবেই তার দায় নয়। বরং এর দায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। তার ভাষায়, “এই যুদ্ধটা আমার নয়, বাইডেনের যুদ্ধ। আমি চেষ্টা করছি আমেরিকাকে এই যুদ্ধ থেকে বের করে আনতে। এটা কোনো রিপাবলিকান বা ট্রাম্পের যুদ্ধ নয়। এই যুদ্ধ হতোই না, হওয়া উচিতও হয়নি।”
বৈঠকে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমি পুতিনের প্রতি হতাশ। আমি ভেবেছিলাম দুই মাস আগেই একটা চুক্তি হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি।”
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, পুতিন অতীতে বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ, ওবামা এবং বাইডেনসহ চার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধোঁকা দিয়েছেন, কিন্তু “আমাকে পারেননি।”
বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য বড় অস্ত্র সহায়তার ঘোষণাও এসেছে। মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনবে ন্যাটো, যার মধ্যে ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও রয়েছে। এই অস্ত্র পরে ইউক্রেনে পাঠানো হবে বলে জানান ট্রাম্প ও রুটে। অস্ত্র কেনায় একমত হয়েছে জার্মানি, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন ও যুক্তরাজ্য।
একসময় পুতিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ার আশায় ছিলেন ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারে তিনি বলেছিলেন, “২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করব।” কিন্তু ক্ষমতায় ফিরে কিছুদিন না যেতেই ট্রাম্প পুতিনের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কারণ, পুতিন যুদ্ধ থামানোর বদলে ইউক্রেনে রেকর্ডসংখ্যক মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালাতে থাকেন।
ট্রাম্প এক পর্যায়ে বলেন, “আমি বাড়ি যাই, মেলানিয়াকে বলি— ‘আজ পুতিনের সঙ্গে সুন্দর কথা হয়েছে’। ও বলে— ‘সত্যি? এখনই তো একটা শহরে বোমা পড়ল।’”
পুতিন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, “আমি বলছি না পুতিন খুনী, তবে ও এক কঠোর ব্যক্তি।”
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
একে