রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দ রেজওয়ানা হাসান জানান, তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের সাথে জোড়লো আলোচনা চলছে। তিস্তা নদীটার গতি প্রকৃতিটা অনেকটাই আমাদের উপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে উজানের দেশের উপর।
তিনি বলেন, সরকারি পর্যায় থেকে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ব্যাপারে কাজ করা হয়েছিল। আপনারা জানেন যে ২০১১ সালে একটা চুক্তি করা হয়েছিল তবে সেই চুক্তি এখনো স্বাক্ষর করা হয় নি তবে সেই প্রক্তিয়া সেই কাজও এখনো চলমান রয়েছে। পাশাপাশি তিস্তা যেহেতু আমাদের দেশের নদী ভাটির দেশের জনগণ হিসেবে এই নদীর উপর তো আমাদের অধিকার আছে।আমাদের জনগোষ্ঠী,জনপদ দেশের একটা অধিকার আছে সেটা আমরা কেমন করে সুরক্ষিত রাখতে পারি সেজন্য চীন সরকারের সাথে ২০১৬ সালে একটা স্বারক দেয়া হয়েছিল যার পরে একটা প্লান দেয়া হয়েছিল সেই প্লান আর আগায় নি।আমরা এসে জনগণের দাবি শুনেছিলাম যে তাঁরা তিস্তাকে নিয়ে একটা মহাপরিকল্পনা চায়। আমরা এসে সেই পরিকল্পনাকে মহাপরিকল্পনায় রুপ দেওয়ার জন্য চীন সরকারের সাথে কথাবার্তা শুরু করেছি।আপনারা জানেন যে এখানে আমরা পাঁচটা গণশুনানি করেছি। যাতে এই পরিকল্পনা সরকারের পরিকল্পনা না হয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর পরিকল্পনা হয়।
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নে খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীর বাম তীর পূব সর্তকর্তামুলক কাজের পরির্দশনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড এর মহাপরিচালক এনায়েত উল্লাহ, উওরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান,কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহবায়ক ডা. আতিক মুজাহিদ প্রমুখ।
এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কুড়িগ্রামের রাজাহাট ও উলিপুর উপজেলার ২৪ টি পয়েন্টে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্ব সতর্কতামূলক তিস্তা নদীর বাম তীর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে চলমান কাজের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগের উপরে সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকী কাজ শেষ হবে।
এমআই