শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

প্রথমবারের মতো বাকৃবিতে পালিত হচ্ছে 'বিশ্ব বাঘ দিবস'

বৃহস্পতিবার, জুলাই ৩১, ২০২৫
প্রথমবারের মতো বাকৃবিতে পালিত হচ্ছে 'বিশ্ব বাঘ দিবস'

বাকৃবি প্রতিনিধি:

"বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি, সুন্দরবনের সমৃদ্ধি" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব বাঘ দিবস-২০২৫’।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর খুলনা (খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট) সমিতি।

অনুষ্ঠানে বৃহত্তর খুলনা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও কৃষি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডীন এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার এবং ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাতেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বৃহত্তর খুলনা সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও বাঘ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম। তিনি বলেন, “সুন্দরবনের ভারসাম্য রক্ষায় বাঘ অনন্য একটি প্রাণী। কিন্তু খুলনা ও বাগেরহাট অঞ্চলে হরিণের মাংস পাচার হওয়ায় বাঘের খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে। বাঘের খাবারের ৮০ শতাংশই আসে হরিণ থেকে। হরিণ কমে গেলে বাঘ খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে এবং তখন মানুষ আতঙ্কিত হয়ে বাঘ হত্যা করে। এই শৃঙ্খল ভাঙার জন্য আমাদের বন বিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। চোরাকারবারিরা অনেক সময় শুকরের মাংস হরিণের মাংস হিসেবে বিক্রি করার চেষ্টা করে, আমরা তা শনাক্ত করে ল্যাব টেস্টে পার্থক্য নির্ণয় করছি।”

তিনি আরও বলেন, “সুন্দরবনের প্রাণী দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। বৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে কেউ যদি বাঘ বা কুমিরের আক্রমণে আহত হন, তবে তাঁকে ১ লাখ টাকা এবং মৃত্যুবরণ করলে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান বলেন, বাঘ না থাকলে সুন্দরবনের অস্তিত্বই বিপন্ন হবে। সুন্দরবন শুধু দক্ষিণাঞ্চলের নয়, এটি গোটা বাংলাদেশের জন্য একটি প্রাকৃতিক রক্ষা বাঁধ। এটি নিঃশব্দে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে। বাঘ হচ্ছে এই বনজ পরিবেশের প্রধান হরিণভুক শিকারী। বাঘ বিলুপ্ত হয়ে গেলে এর প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে, যা পুরো দেশেই বিরূপ প্রভাব ফেলবে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ জানেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সুন্দরবন কিভাবে তাদের রক্ষা করে। নিজেদের টিকে থাকার স্বার্থেই আমাদের সুন্দরবন ও এর বাসিন্দা বাঘকে রক্ষা করা প্রয়োজন।

একে 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল