শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

খুবির বুকের মধ্যে গল্লামারী মৎস্য খামার, অধিগ্রহণের দাবি

শুক্রবার, আগস্ট ৮, ২০২৫
খুবির বুকের মধ্যে গল্লামারী মৎস্য খামার, অধিগ্রহণের দাবি

খুবি প্রতিনিধি:

উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) বর্তমানে তীব্র ভূমি সংকটের মুখে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার ভেতরে অবস্থিত মৎস্য অধিদপ্তরের গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারটি আবাসন সংকট নিরসন ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি।

বর্তমানে খুবিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি হলেও হল রয়েছে মাত্র পাঁচটি। ফলে মাত্র ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় ভূমির এক-পঞ্চমাংশ জায়গা নিয়ে পরিচালিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞানভিত্তিক ডিসিপ্লিনগুলোর মাঠ গবেষণার ক্ষেত্রেও জমির অভাব তীব্র সমস্যা তৈরি করছে।

দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ ও গল্লামারী মৎস্য খামার অধিগ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর তারা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেয়। পরবর্তীতে প্রধান ফটক ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও ব্যানার টানিয়ে জমি হস্তান্তরের দাবিতে কর্মসূচি পালন করে।

শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর সচিবদের মৌখিক অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি ৫ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। এছাড়া উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তুলে ধরেন।

তবে দীর্ঘসূত্রিতায় সমাধান না হওয়ায় ২০২৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শেষে খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টানায়। সর্বশেষ ৯ মার্চ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনকালে এ দাবিকে ‘যৌক্তিক’ উল্লেখ করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ক্যাম্পাসের ভেতরে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থিত ১০.৩৫ একর আয়তনের খামারটি নিরাপত্তা ও অবকাঠামোগত পরিকল্পনায় অন্তরায় তৈরি করছে। জমিটি হস্তান্তর করা হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন, গবেষণাগার ও অবকাঠামো উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও প্রাকৃতিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব হবে। এছাড়া ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি (এফএমআরটি) ডিসিপ্লিনকে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা ইনস্টিটিউটে রূপান্তর করা যাবে, যা দেশের মৎস্য গবেষণা ও উৎপাদনে বড় অবদান রাখবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, নদীর নাব্যতা হ্রাস ও দূষণের কারণে গল্লামারী খামারের বর্তমান অবস্থান অনুকূল নেই। তাই জোয়ার-ভাটা সম্পন্ন নদীর তীরে বড় জায়গায় খামার স্থানান্তর যৌক্তিক হবে।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “জমি সংকটের কারণে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, গবেষণাগার সম্প্রসারণ ও আবাসন সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। খামারের জমি হস্তান্তর হলে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনায় তাৎক্ষণিক গতি আসবে।”

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল