রাফি উজ্জামান, রাবি প্রতিনিধি :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে আবাসিক হলের পরিবর্তে একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে ক্যাম্পাসে সক্রিয় কয়েকটি ছাত্র সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র গণমঞ্চ, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা এ দাবি জানান।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো– সাইবার বুলিং রোধে একটি কার্যকর সেল গঠন করতে হবে এবং ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামক গ্রুপসহ অনলাইনে অপপ্রচার চালানো বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজ বন্ধ করতে হবে; গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে হামলা এবং গত জুলাই মাসে আন্দোলন চলাকালে ও এরপরে বিভিন্ন ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে’ জড়িতদের ভোটাধিকার বাতিল করতে হবে এবং ছবিসহ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত রাকসুর খসড়া তফসিলে আবাসিক হলে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে বড় বাধা। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, প্রায় সকল অংশীজনের জোরালো আপত্তি সত্ত্বেও প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে।’
আবাসিক হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় দাবি করে নাসিম সরকার বলেন, ‘আবাসিক হলগুলোতে একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকায় সেখানে কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।’
ভোটার তালিকায় ছবি না থাকায় ‘প্রক্সি ভোট’ হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের আগে ও পরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দখলদারিত্বের সঙ্গে সম্পৃক্তদের রাকসুতে অংশগ্রহণের নৈতিক ভিত্তি নেই। অথচ আমরা লক্ষ করেছি, অনেক গুরুতর অপরাধীকেও ভোটার তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে দখলদার গোষ্ঠী প্রক্সি ভোট প্রদানের প্রচেষ্টা করতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া শুভ, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাকিব হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কাইসার আহমেদ, ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সচিব ওয়াজিদ শিশির অভি।
এমআই