এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ শনিবার উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে প্রার্থীদের পদচারণায় মুখরিত গোটা উপজেলা। সাধারণ কর্মীরা একাধিক প্রার্থীদের সমর্থনে দ্বিধা-বিভক্ত।
শুক্রবার দিনভর নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক সভাপতি প্রার্থী এফ এম শামীম আহসান বলেছেন, একটি মহল হুমকি-ধামকি, প্রভাব খাটিয়ে ভোট নিতে চাচ্ছেন।
এভাবে ভোট নেওয়া যাবে না। কর্মীদের মন জয় করে ভোট নিতে হবে। ছাত্র রাজনীতি থেকে দলের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকে জেল জুলুম নির্যাতন একাধিক মামলা হামলার স্বিকার হয়ে কর্মীদের ছেড়ে যাইনি। দুঃসময়ে প্রতিটি মুর্হুতে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম এ কারনেই তৃনমুল কর্মীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে তাকে বিজয় করবেন তিনি আশাবাদি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী এফ এম শামীম আহসান নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুর্হুতে শুক্রবার সকাল থেকেই উপজেলার কালিকাবাড়ি, আমতলা, দৈবজ্ঞহাটী, বাধাল বাজার, বনগ্রাম, হোগলাপাশা, বৌলপুর, মহিষপুরা, পোলেরহাট, তেলিগাতি-ঢুলিগাতি হেড়মা, পঞ্চকরনের পাঁচগাও বাজার, নতুন বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মোটর শোভাযাত্রা শহকারে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে গিয়ে ভোট চেয়ে পৃথক পৃথক পথসভায় বক্তৃতা করেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি নেতা মো. খলিলুর রহমান, মাষ্টার জাহিদ হোসেন, নিয়াজুর রহমান মোল্লা, শাহজাহান হাওলাদার, আব্দুল আউয়াল, জিউধরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জিএস রিপনসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৮ বছর পরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ উপজেলায় বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল তৃনমুল কর্মীরা ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচিত করবেন। সভাপতি পদে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৩ জন। এরা হলেন মো. শহিদুল হক বাবুল, এফ এম শামীম আহসান, অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক পদেও ৩ জন প্রার্থী। ফকির রাসেল আল ইসলাম, এ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান ইয়াদ ও আবজাল হোসেন জোমাদ্দার।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী ৫ জন। অধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিন টুলু, খেলাফত হোসেন খসরু, অধ্যাপক ফায়জুল হক, ইউনুস আলী আকন, জাহাঙ্গীর হোসেন লাভলু ও তালুকদার ফিরোজ শাহ।
এ নির্বাচনে মোট ১ হাজার ১ শত ৩৬ জন ভোটার উপজেলা কাউন্সিলে ভোট দিবেন। তাদের ভোটে নির্বাচিত হবেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দু’জন সাংগঠনিক সম্পাদক।
এমআই