অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা সুলতান বাপ্পী। সম্প্রতি তাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে। এরপর বাপ্পীর উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেন তিনি।
বাপ্পী সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং স্থানীয় রমারখিল গ্রামের আব্দুল লতিফ সরকারের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তারা জানান, ছাত্রদল নেতা বাপ্পী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে এখন প্রায় শয্যাশায়ী। গত ৪ বছর ধরে পরিবার তাকে শেকলে বেঁধে রেখেছে।
এর আগে তারা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বাপ্পীর বাড়িতে যান জেলার নেতারা। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন ভিডিও কলে বাপ্পীর সঙ্গে কথা বলেন।
বাপ্পীকে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করেছেন।
বাপ্পীর বড় ভাই মো. সোলায়মান বলেন, বিগত ২০২১ সালে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মিলাদ মাহফিল আয়োজন করার পর ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাপ্পীর ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। সেই মারধরের ফলেই আমার ভাই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এরপর থেকে আমরা তাকে শেকলে বেঁধে রাখতাম। এমনকি তাকে একাধিকবার মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাপ্পী ছিলেন একজন সক্রিয় ছাত্রদল নেতা। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সময় মিলাদ মাহফিল আয়োজন করায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ তার ওপর ধারাবাহিক হামলা চালায়। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং ভারসাম্য হারায়। শারীরিক অবস্থাও এতটাই খারাপ হয় যে, তাকে শেকলে বেঁধে রাখতে হতো। বিছানায় পড়ে থাকতে থাকতে কোমর থেকে নিচের অংশে ক্ষতও সৃষ্টি হয়েছে। দেশনায়ক তারেক রহমান তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। আশা করি, উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে বাপ্পী সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে এবং আবার আমাদের সঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত হবে।
এমআই