বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের উদ্যোগে ঢাকায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘সামাজিক এবং আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এসবিসিসি) কৌশল ও প্রচার অভিযান উন্নয়ন কর্মশালা’।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার গুলশানে ন্যাসেন্ট গার্ডেনিয়া স্যুটস হোটেলে এ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়।
ক্যাব ইন্টারন্যাশনাল (ক্যাবি) কর্তৃক প্ল্যান্টওয়াইজ প্লাস কর্মসূচির আওতায় ‘পেস্টিসাইড প্রকল্প’-এর অংশ হিসেবে আয়োজিত হয়। এ কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো কীটনাশক ব্যবহারের ঝুঁকি হ্রাস, সমন্বিত বালাই দমন (আইপিএম) প্রসার এবং কৃষি সম্প্রদায়ে নারীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্যাবি বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. সালেহ আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএই মহাপরিচালক মো. সাইফুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএআরসি-এর প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের সদস্য পরিচালক ড. মো. সাইফুল্লাহ, ডিএই-এর ফিল্ড সার্ভিস উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন। দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা এসবিসিসি কৌশলের কাঠামো, পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, অডিয়েন্স অ্যানালাইসিস ও অংশগ্রহণমূলক গ্রুপ ওয়ার্কে অংশ নিচ্ছেন। কর্মশালার সেশন পরিচালনা করছেন ক্যাবির এশিয়া অঞ্চলের ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন ম্যানেজার আজমত আব্বাস, ড. দিলরুবা শারমিন এবং বিল ওকাকা। আগামীকাল (সোমবার) সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম দিনের কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মো. সাইফুল্লাহ বলেন, জ্ঞান ও কর্মের মধ্যে ফাঁক পূরণে সমন্বিত উদ্যোগ অপরিহার্য। বিশেষ করে সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নীতি-আধারিত প্রচারণার মাধ্যমে পেস্টিসাইড ব্যবহারের ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কেবল পেস্টিসাইড বেশি ব্যবহার করলে উদ্ভিদ রোগমুক্ত হবে—এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। এছাড়া তিনি কৃষকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে গুড এগ্রিকালচার প্র্যাকটিস ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি মো. সাইফুল আলম তাঁর বক্তব্যে এসবিসিসি-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, এসবিসিসি নিরাপদ পেস্টিসাইড ব্যবহার এবং সমন্বিত কীটনাশক ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) প্রচারের মাধ্যমে কৃষকদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও খাদ্যের অভাব নেই, নিরাপদ খাদ্যের অভাব রয়েছে। ২০৫০ সালের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। ক্যাবি এবং বিআরসি এই উদ্যোগে সার্বিক সহযোগিতা করছে।
এমআই