বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় সুপার টাইফুন রাগাসা ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে তাইওয়ান ও হংকংয়ে। এ ঝড়ে এখন পর্যন্ত তাইওয়ানে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১২৪ জন। ঝড়ের প্রভাবে হংকংয়ে শুরু হয়েছে দমকা হাওয়া ও মুষলধারে বৃষ্টি। জনসাধারণকে ঘরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে শত শত ফ্লাইট।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে ফিলিপিন্সের উত্তরে কাগায়ান প্রদেশের পানুইটান দ্বীপে ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রাগাসা। এরপর এটি ধেয়ে যায় তাইওয়ান, হংকং ও চীনের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে।
তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েন কাউন্টিতে প্রবল বাতাস ও বৃষ্টিতে পাহাড়ঘেরা একটি হ্রদের পানি উপচে পড়ে। ফলে স্থানীয় একটি শহরে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এতে অন্তত ১৪ জন নিহত হন এবং আরও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হন। নিহতরা সবাই গুয়াংফু শহরের বাসিন্দা। শহরটির একটি প্রধান সেতু ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাহাড়ি এলাকা দামা গ্রাম সম্পূর্ণভাবে পানির নিচে চলে গেছে। গ্রামের প্রায় এক হাজার বাসিন্দা আটকা পড়েছেন। অনেকে নিজের বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে, রাগাসা ধীরে ধীরে তাইওয়ান থেকে চীনের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে তার আগাম প্রভাব পড়তে শুরু করে হংকংয়ে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সেখানে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিপাত। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। বেশ কিছু এলাকায় রাস্তা ও সৈকত পানিতে তলিয়ে যায়।
হংকং কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে। ঝড়ের কারণে শহরের রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। বন্ধ করে দেওয়া হয় সরকারি কার্যক্রম। লোকজনকে বলা হয় ঘরে থাকতে।
এমআই