নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলরত শিক্ষকদের একটি অংশের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এছাড়া লাঠিচার্জও করা হয়েছে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছেন ওই শিক্ষকরা। পাঁচজনকে আটকও করা হয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়ার দাবিতে সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষকরা।
এরপর শিক্ষকদের একটি অংশ জাতীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন এবং তারা সেদিকে চলেও যান। অন্য একটি অংশ প্রেসক্লাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান। এমনকি সচিবালয়ের দিকে লংমার্চের ঘোষণাও দেন।
এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তা নিয়ন্ত্রণেই জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান প্রেসক্লাবে অবস্থানরত শিক্ষকরা। পরে লাঠিচার্জও করে পুলিশ।
তারপরও ওই শিক্ষকরা দফায় দফায় সড়কে নেমে আসছেন এবং নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
এর আগে প্রজ্ঞাপন ছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন না বলে জানান বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। অর্থ মন্ত্রণালয়ে আলোচনা শেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এ ঘোষণা দেন। তবে অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন শিক্ষকরা।
জানা গেছে, অবস্থান কর্মসূচি প্রেসক্লাব থেকে শহীদ মিনারে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন শিক্ষক নেতারা। অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এমন আহবান জানান। তবে একপক্ষ এর বিরোধীতা করে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করার দাবি তুলেছেন। তারাই শহীদ মিনারে না গিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন।
শিক্ষকরা বলছেন, বাড়ি ভাড়া ২০ শতাংশ করা না হলে তারা ফিরবেন না। এর আগে অনেকবার আশ্বাস দিলেও মানা হয়নি। এবার তারা প্রজ্ঞাপন নিয়েই ফিরতে চান।
এর আগে তাদের শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়ার দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে এ দাবি মানা হবে বলে জানানো হয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তারা আলোচনায় বসেন। তবে কোন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে সেটি জানা যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘শিক্ষকদের কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। তারা পাঁচ-ছয়জন হেফাজতে আছে। যারা নেতৃত্বে আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শিক্ষককের সম্মান করি। তাদের আটকে রাখা বা মামলা করার কোনো ইনটেনশন নেই। আমাদের উদ্দেশ্য, জায়গাটা (প্রেসক্লাব) মানুষের চলাচলের জন্য নির্বিঘ্ন করা।’
এমআই