মুহা: জিললুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় সড়ক উন্নয়নের লক্ষ্যে অনুযায়ী জেলার শ্যামনগর থেকে ভেটখালী বাজার পর্যন্ত সড়কের দ্ধুসঢ়;ই ধারের গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষণা বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে শ্যামনগর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে ভেটখালী বাজার অভিমুখে সড়কের উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করা হয়।
এসময় বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় সড়কের দুই ধারে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সকল অবৈধ স্থাপনা। এতে বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে সড়কের পাশে বসবাস করা শতাধিক পরিবার। চোখের সামনে বাড়িঘর গুড়িয়ে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। এক দিকে উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাড়িঘর হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ছিন্নমুল পরিবারের সদস্যরা। এসময় তাদের আর্তনাদে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
স্থানীয় সখিনা খাতুন তার বসতঘর হারিয়ে বলেন, আমরা দীর্ঘ ৫০ বছর রাস্তার পাশে বসবাস করে আসছি। কেউ আমাদের উঠিয়ে দেয়নি। আমাদের বসবাসের কোন জায়গা নেই। এখন আমরা কোথায় যাব? পরিবারের শিশু- বৃদ্ধেদের নিয়ে কোথায় থাকবো? এদিকে, উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের দাবিতে তাৎক্ষণিক প্লাকার্ড হাতে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় কিছু তরুণ।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া হাফিজুর রহমান ও জান্নাতুল নাঈম বলেন, উচ্ছেদ হওয়া ভূমিহীনদের মানবিক দৃষ্টিতে অন্যত্র পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি গুচ্ছ গ্রামে তাদের বসবাসের সুযোগ করে দিতে হবে। আমরা অবশ্যই উন্নয়ন চাই। কিন্তু এগুলো পরিবার যাবে কোথায়? তাদের বাসস্থান নিশ্চিত করার দায়িত্ব অবশ্যই রাষ্ট্রের।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনী খাতুন বলেন, যদি কোন ভূমিহীন সরকারি খাস জায়গা বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করে, আমরা সেটি বিবেচনা করবো। কিন্তু তাৎক্ষণিক তাদেরকে পুনর্বাসনের সুযোগ নেই।
এমআই