আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির পরও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তাদের হামলায় বিরতির পর থেকে ১৯ অক্টোবর রোববার পর্যন্ত ৯ দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ৯৭ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২৩০ জন।
গাজার সরকারি প্রশাসনের জনসংযোগ দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গাজায় প্রায় প্রতিদিনই যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ১০ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পর থেকে ১৯ অক্টোবর রোববার পর্যন্ত আইডিএফের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন সংক্রান্ত মোট ৮০টি সংহিসতার ঘটনায় নথিবদ্ধ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন মোট ৯৭ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩০ জন।”
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে যেসব সহিংসতা ইসরায়েলি সেনারা গাজায় ঘটিয়ে যাচ্ছে, সেসবের মধ্যে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে এলাপাতাড়ি গুলি, গোলাবর্ষণ, ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা, বেসামরিকদের গ্রেপ্তার করা— প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী বিরতির প্রথম পর্যায়েই গাজা থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও তা পালন করছে না ইসরায়েল। এখনও গাজার আবাসিক এলাকাগুলোতে ট্যাংক. সাঁজোয়া যান, সামরিক জিপ টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়া আগের তুলনায় মাত্রা কমিয়ে আনলেও এখনও গাজায় বিমান ও ড্রোন অভিযান অব্যাহত রেখেছে আইডিএফ।
“গত ৯ দিনে গাজায় যা যা ঘটেছে, সব গাজার প্রশাসনের কাছে নথিবদ্ধ আছে। আমরা নিশ্চিত করে বলছি যে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত মানছে না এবং আমাদের জনগণের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে।”
গত ২৯ সেপ্টেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে পেশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েল— উভয়ে এই প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার পর গত ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজায়। এর আগে টানা দুই বছর সংঘাত চলেছে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে। সেই সংঘাতে নিহত হয়েছেন প্রায় ৬৮ হাজার এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
একে