আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রুশ বাহিনীর হামলায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ চেরনিহিভের বিস্তীর্ণ এলাকা। গতকাল সোমবার এ হামলা ঘটেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
চেরনিহিভ প্রদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় চেরোনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র চেরনিহিভোব্লেনেরর্গো নামের একটি কোম্পানি। সোমবার এক বিবৃতিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ্য করেই হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল এবং হামলার জেরে কেন্দ্রটি বেশ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। কোম্পানির বিবৃতিতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি।
চেরোনোবিল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৪৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত ইউক্রেনীয় শহর স্লাভুতিচ। খহরটির মেয়র ইউরি ফোমিচেভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় জানিয়েছেন, সোমবার রুশ বাহিনীর হামলার পর থেকে বিদ্যুৎ নেই তার শহরে।
চেরনিহিভের বিদ্যুৎ বিহীন এলাকাগুলোতে রিজার্ভ বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে পানির প্রবাহ সচল রাখা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।
২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যা এখনও চলছে। গত প্রায় তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে প্রতিবারই শীত আসার আগে ইউক্রেনের তেল ও গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ নেটওয়ার্কে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
রাশিয়ার হামলার কারণে নিজেদের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস তুলতে পারছে না ইউক্রেন। সোমবার এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আসন্ন শীতে জনদুর্ভোগ লাঘব করতে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও আজারবাইজান থেকে ২০০ কোটি ডলারের তরল গ্যাস আমদানি করছে ইউক্রেন।
সোমবারের হামলার ব্যাপরে প্রতিক্রিয়া ও বিস্তারিত জানতে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপরে কথা বলতে চাননি।
সূত্র: রয়টার্স
একে