স্পোর্টস ডেস্ক:
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতলেও দ্বিতীয়টিতে সুপার ওভারে হেরে বসে বাংলাদেশ। আজকের তৃতীয় ম্যাচটি ছিল তাই সিরিজ নির্ধারণী। অলিখিত ফাইনালে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত খেলেছেন টাইগাররা। আগে ব্যাট করে সাইফ হাসান-সৌম্য সরকারের রেকর্ড জুটিতে স্কোরবোর্ডে ওঠে ২৯৬ রানের সংগ্রহ। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লাল-সবুজের দলের স্পিনারদের ঘূর্ণিতে ৩০.১ ওভারে ১১৭ রানেই অল আউট হয় ক্যারিবীয়রা। ১৭৯ রানের বিশাল জয়ে সহজেই সিরিজ জিতে নেয় মেহেদী মিরাজের দল। একদিনের ক্রিকেটে ১৭ মাস পর এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়। সবশেষ ২০২৪ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা।
২৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৬ রানেই ভাঙে ক্যারিনীয়দের উদ্বোধনী জুটি। নাসুম আহমেদের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে আউট হন অলিক আথানেজ। ফেরার আগে অবশ্য তিনি করেন ২১ বলে ১৫ রান। এরপর ক্যারিবীয়দের বাকি দুই উইকেটও তুলে নেন নাসুমই।
দলীয় ২৮ রানে আউট আকিম অগাস্টে, ৩৫ রানে আউট হন ব্র্যান্ডন কিং। ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এরপর উইকেট নেওয়ার উৎসবে যোগ দেন রিশাদ হোসেন। তরুণ এই স্পিনারের বলে আউট হন শেরফান রাদারফোর্ড, রোস্টন চেজ। এর আগে অবশ্য অধিনায়ক শাই হোপকে ফিরিয়েছিলেন তানভির ইসলাম।
এক পর্যায়ে ৬৩ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় একশ রানের আগেই অল আউট হওয়ার শঙ্কাও জেগেছিল ক্যারিবীয়দের সামনে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তিন অঙ্ক ছুঁতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে বড় হার এড়াতে পারেনি তারা। টাইগার স্পিনারদের ঘূর্ণিতে শেষ পর্যন্ত ১১৭ রানেই অল আউট হয় ক্যারিবীয়রা। ১৭৯ রানের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ, ওয়ানডেতে যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগের বড় জয়টা ছিল ১৬০ রানের, ২০১২ সালে খুলনায়।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত করেছেন টাইগার স্পিনাররা। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ ও নাসুম। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মিরাজ ও তানভীর। এর আগে ব্যাট করতে নেমে সাইফ-সৌম্যর ১৭৬ রানের রেকর্ড উদ্বোধনী জুটিতে ২৯৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান দলে থাকলেও একটি বলও করেননি। বাংলাদেশের সবগুলো ওভারই করেছেন স্পিনাররা।
এমআই