নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় ও দু-বার নাম থাকায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যারা প্রতারণার মাধ্যমে গেজেটভুক্ত হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও এতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত গেজেট তালিকায় কিছু কিছু জুলাই যোদ্ধা আহত নন, আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হননি এবং কয়েক জনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়ার তথ্য মেলে। এ অবস্থায় জেলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ বিভাগের ২১ জন, সিলেট বিভাগের ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জন, খুলনা বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের তিনজন, ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন, বরিশাল বিভাগের দুজনসহ মোট ১২৮ জনের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
যারা প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন ও বেআইনিভাবে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ ও আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সরকার এককালীন অর্থ সহায়তা ছাড়াও মাসিক ভাতা দিচ্ছে।
সরকার দুই দফায় গণঅভ্যুত্থানে ৮৪৪ জন জুলাই শহীদের নামের গেজেট প্রকাশ করে। পরে ৮ জনের গেজেট বাতিল করা হয়।
অতি গুরুতর আহতদের ক-শ্রেণি, গুরুতর আহতদের খ-শ্রেণি ও সাধারণ আহতদের গ-শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকার এরই মধ্যে ক-শ্রেণির ৬০২ জন, খ-শ্রেণির এক হাজার ১১৮ জন ও গ-শ্রেণিতে ১২ হাজার ৩৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট প্রকাশ করেছে।
এই সংক্রান্ত বিধিমালা অনুযায়ী, ক-শ্রেণির আহতরা এককালীন ৫ লাখ টাকা পাচ্ছেন। এরই মধ্যে তাদের ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বাকি ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এরা প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।
খ-শ্রেণির আহতরা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। গত অর্থবছরে তাদের এক লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি ২ লাখ টাকা চলতি অর্থবছরে দেওয়া হবে। তারা মাসিক ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। গ-শ্রেণির আহতরা ইতোমধ্যে এককালীন এক লাখ টাকা পেয়েছেন। তারা প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।
এমআই