এস এম জহিরুল ইসলাম, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের শ্রীপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ বাদল মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী কামাল উদ্দিন সরকার। এ ঘটনায় তিনি তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ছয়জনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে শ্রীপুর পৌরসভার আনসার রোড মোড়ে নিজ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কামাল উদ্দিন সরকার এই অভিযোগ করেন।
আসামিরা হলেন,শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি আনসার রোড এলাকার হাফিজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে বাদল মণ্ডল (৪০), সাফিজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে ফরহাদ মণ্ডল (৩৫) এবং আব্দুল কাদিরের ছেলে নাঈম শেখ (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কামাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “আমি গত ২০ বছর ধরে স্থানীয় রাতুল অ্যাপারেলস থেকে কার্যাদেশ পেয়ে ঝুট ব্যবসা করছি। আমার বাড়ির পাশে একটি গুদামঘরে ঝুট ও গার্মেন্টসের মালামাল রাখা ছিল। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা দখল নিতে হুমকি দিচ্ছিল। সম্প্রতি তারা গুদামের রাস্তা ইট-বালু ফেলে বন্ধ করে দেয় যাতে আমি মালামাল সরাতে না পারি।”
তিনি আরও বলেন, “গত ২৮ অক্টোবর ভোররাতে আসামিরা পেট্রোল ছিটিয়ে গুদামে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে গুদামে থাকা ঝুট ও গার্মেন্টস সামগ্রীসহ প্রায় ৮০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। খবর পেয়ে মাওনা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।”
কামাল উদ্দিন আরও অভিযোগ করেন,“আসামি বাদল মণ্ডলরা আগের সরকারের সময় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের সহযোগিতায় আমাকে ব্যবসা থেকে সরানোর চেষ্টা করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গুদামে আগুন দেয়।”
অভিযুক্ত বাদল মণ্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়; ফলে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারিক বলেন,“ঘটনার পর মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।”
এমআই