বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক সৌদি প্রবাসীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে গাছ কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা। হামলাকারিদের মারপিটে প্রবাসীর মেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক সহ একই পরিবারের ৫ নারী আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ডুমুরিয়া গ্রামে। আহতদেরকে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার আকলিমা বেগম বাদি হয়ে সোহরাফ তালুকদারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগ জানাগেছে, উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে সৌদি প্রবাসী সাইদুল ইসলামের বসতবাড়িতে ঘটনারদিন শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পার্শবতী কামলা গ্রামের সোহরাফ তালুকদারের নের্তৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তদল তার বড় ভাই মনিরুল ইসলামের বসতব ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ও ফলন্ত সুপারি, কলা গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন করে। এ সময় হামলাকারিদের বাঁধা দিলে তাদের মারপিটে গুরুত্বর জখম হন প্রবাসীর মেয়ে জিলবুনিয়া আবাদ নেছারিয়া সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক সাদিয়া আক্তার (২৬), প্রবাসীর স্ত্রী আকলিমা বেগম (৩৫), বড় ভাইয়ের স্ত্রী জাহানুর আক্তার (৩৮), চাচাতো ভাইয়ের ছেলের স্ত্রী চম্বা বেগম (৩৫), ছোট মেয়ে নিলুফা আক্তার (১৯) আহত হয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করা হয়।
রবিবার ভুক্তভোগী পরিবারের প্রবাসীর স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, সাড়ে ৬ শতক জমি ২০০৬ সালে ক্রয় করে ১৯ বছর বসতবাড়ি করে সেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছি। স্বামী সৌদি থাকার সুবাধে পাশর্^বর্তী কামলা গ্রামের সোহরাফ তালুকদার এ জমি নিয়ে দিন দিন ঝামেলা করছে। দখলের জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিকল্পিতভাবে তিনি ভাড়াটিয়া ২৫/৩০ জন লোকজন নিয়ে এসে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। বসতবাড়ির ফলন্ত গাছপালাও কেটে ফেলেছে। বাড়িতে পুরুষ মানুষ থাকে না। আমরা মহিলারা ওই প্রভাবশালী চক্রের ভয়ে আতংকে রয়েছি। হামলার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। ওই রাতে ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখে গেছেন। প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে সোহরাফ তালুকদারের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানা ওসি মো. মতলুবর রহমান বলেন, প্রবাসীর বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায় আকলিমা বেগম বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে, স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসার চেষ্টা চলছে। মিমাংসা না হলে অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একে