নিজস্ব প্রতিবেদক:
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করছে। বর্তমানে এর কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
এর প্রভাবে দেশের চার সমুদ্রবন্দর— চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। একই সঙ্গে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে গভীর সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর কর্তৃক শুক্রবার প্রকাশিত এক বিশেষ আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-০৬) এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রীলঙ্কা উপকূল ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আজ (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১ হাজার ৮৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে না যেতে নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এমআই