মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় টানা দুই মাস ইমামের পেছনে জামায়াতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুশীলনে উৎসাহিত করতে ব্যতিক্রমধর্মী এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে টানা ৩০৫ ওয়াক্ত জামায়াতে নামাজ আদায় করায় পাঁচজন শিশু-কিশোরকে বাইসাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের কদমতলী বাইতুশ শরফ জামে মসজিদে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে এবং মাস্টার ওয়াজী উল্লাহ ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল আনোয়ার ভুইয়া।
অনুষ্ঠানে চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন সেলিম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মিজানুর রহমান, চাপরাশিরহাট এ রব ফাযিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু শাহাদাত ইসহাক, চাপরাশিরহাট দারুল কোরআন আদর্শ মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নূরুদ্দিন গাজী, জামেয়া শারাফাতিয়া ফাযিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা শহিদুল্লাহ, দক্ষিণ-পশ্চিম চরফকিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা ইসমাইল নবী এবং মাস্টার ওজিউল্লাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মো.শাহেদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
আয়োজকরা বলেন, শিশু-কিশোরদের নিয়মিত নামাজে অভ্যস্ত করা, মসজিদমুখী করা এবং নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় শিশু, কিশোর ও যুবক মিলিয়ে মোট ৫৪ জন অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু-কিশোররা অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, নিয়মিত জামায়াতে নামাজ পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। বাইসাইকেল পাওয়াটা আনন্দের হলেও সবচেয়ে বড় অর্জন হলো নামাজে সময়মতো হাজির হওয়ার অভ্যাস। আমাদের এই সাফল্যে আমাদের মা-বাবা, সমাজের লোকজন সবাই খুশি হয়েছেন। সকলের দোয়ায় আমরা এই অভ্যাস ধরে রাখতে চেষ্টা করবো।
অভিভাবকরা বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের সন্তানদের মোবাইল ও খারাপ আসক্তি থেকে দূরে রেখে দ্বীনের পথে আগ্রহী করছে। আমরা আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশু-কিশোরদের নৈতিক অবক্ষয় রোধে ধর্মীয় অনুশীলনের বিকল্প নেই। সমাজের বিত্তবান ও সংগঠনগুলো এগিয়ে এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও সুসংহত ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে উঠবে।
বক্তারা ভবিষ্যতেও এমন ধর্মীয় ও সামাজিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
একে