তালুকদার হাম্মাদ, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রশাসন কর্তাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার ঘটনায় শাখা ছাত্রদল ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিলেও কোনো বিবৃতি দেয়নি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈবিছাআ)। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে তুমুল সমালোচনার সূত্রপাত ঘটেছে।
জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে উম্মুল মু'মিনিন আয়েশা (রা.) হলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গভীর রাত পর্যন্ত প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত থাকায় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য রাফিজ আহমেদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা এবং প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতিকে গালিগালাজ করেন আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ, সদস্য নুর উদ্দিন এবং রাফিজ আহমেদ। পরে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনার জন্ম দিলে লাইভটি ডিলিট দেন তিনি। পরে ১৮ ডিসেম্বর নিজেদের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেন তারা।
এদিকে, একই রাতে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে 'প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা ওপেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তো সবার সামনে লুচ্চামি করতে পারবে না, কিন্তু মেয়েদের হলে ঠিকই পারবে' বলে মন্তব্য করেন শাখা বৈবিছাআ'র যুগ্ম সদস্য সচিব বাঁধন বিশ্বাস স্পর্শ। ঘটনাটি একইভাবে সমালোচনার জন্ম দিলে পোস্ট এডিট করেন তিনি। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো অফিসিয়ালি বিবৃতি দেয়নি সংগঠনটি।
এদিকে এ ব্যাপারে বিডি২৪লাইভ একটি নিউজ প্রকাশিত হলে সেটি শেয়ার দিয়ে বাধন বিশ্বাস স্পর্শ লিখেন, “এখানে আমি যা বলেছি, সত্য বলেছি। কিন্তু আমার শব্দচয়নে ভুল ছিল, পরবর্তী বার থেকে সচেতন থাকবো। পাশাপাশি আগামীতে প্রশাসনের সকল অন্যায়, অবিচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লেখালেখি চলমান থাকবে, ইনকিলাব জিন্দাবাদ।”
এ ব্যাপারে বাঁধন বিশ্বাস স্পর্শ বলেন, সাধারণত প্রশাসন ক্যাম্পাসের যে-কোনো প্রোগ্রাম রাত সাড়ে আটটার মধ্যে বন্ধ করে দিতে বাধ্য করেন। এমনকি ১৬ ডিসেম্বর ফুটবল মাঠে আমাদের যে প্রোগ্রাম হচ্ছিল সেটি ৮টার মধ্যে বন্ধ করার জন্য বাধ্য করে প্রশাসন। এদিকে ঐ একই রাতে তারা মেয়েদের হলে গভীর রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়। এমনকি তারা সেখানে উপস্থিত থেকে মনোরঞ্জনও করে। এটা আমার কাছে বৈষম্য মনে হয়েছে। এজন্যই আমি ঐ পোস্টটি দিয়েছিলাম। তবে আমার শব্দচয়নে কিছু ভুল হয়েছে। পরবর্তীতে এসব ব্যাপারে আমি সতর্ক থাকব।
এ ব্যাপারে শাখা বৈবিছাআ'র আহ্বায়ক এস এম সুইট বলেন, " আমরা বাধনের কাছে বিষয়টা নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মূলত বাঁধন ওটা রূপক অর্থে বলেছিল। তবে ওর বক্তব্যকে আমরা সমর্থন করিনা। তাছাড়া, ছাত্রদলের ওনারা সবাই টপ লেভেলের নেতা। কিন্তু বাধন ওরকম পর্যায়ের কেউ না হওয়াই আমরা কোনো অফিসিয়াল বিবৃতি দিব না।"
এমআই