মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। প্রচন্ড শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপুশসহ অন্যান্য প্রানিকূলের অবস্থা কাহিল হয়েছে পড়েছে। ভিড় বেড়েছে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হিমেল হাওয়া, ঘন কুয়াশা ও তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তিব্রতা বেড়েছে। এতে জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ও শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা আরো অসহনীয় হয়ে উঠেছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগির সংখ্যাও বেড়েছে। শিশু ও বয়ষ্করা শীতজনিক রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ফলে দিনাজপুর মেডিকেল হাসপাতাল, দিনাজপুর জেনারেল অব হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা অন্য সময়ের তুলনায় বেড়েছে।
গত দুইদিন দিনাজপুরে সূর্য দেখা যায়নি। এ কারণে শীতের তিব্রতা বেড়েছে। আজ সোমবার সকাল পৌণে ১১টা পর্যন্ত সূর্য দেখা যায়নি। সূর্যের দেখা মিলবে এমন কোন লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
অনেকেই প্রচন্ড শীত থেকে রক্ষা পেতে বাড়ীর সামনে ও রাস্তার পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। কাজ না না পেয়ে সবসময় জীবি মানুষ দারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
এদিকে শীতের কারণে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। বিত্তশালিরা নতুন গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করলেও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ কাচারি বাজার পুরাতন কাপড়ের দোকান ও ফুটপাতের দোকানগুলো ভিড় করছেন। আর এই সুযোগে বিক্রেতারা পুরাতন কাপড়ের দাম খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, গত শনিবার রাতের তাপমাত্রা ছিল ১৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রবিবার দিনের তাপমাত্রা ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান মাত্র ২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এ কারণেই মূলত শীতের অনুভূতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান যত কম হয় শীতের অনুভূতি ততো তীব্র হয়।
চলমান এই আবহাওয়া পরিস্থিতি আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এ সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত বা কিছুটা হ্রাস বা বৃদ্ধি হতে পারে এমনটি জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তরের এই কর্মকর্তা।
এমআই