এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক ভাইয়ের সমর্থককে অন্য ভাইয়ের সমর্থকের হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ হুমকিদাতা উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম সম্রাটকে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করেছে।।
গ্রেফতারকৃত সম্রাটকে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মো. সিরাজুল ইসলাম এবং তার আপন ছোট ভাই মো. আবুল বাশার বিপ্লব উভয়েই ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী। প্রার্থী হিসেবে দুই ভাইয়ের গণসংযোগকে কেন্দ্র করে উভয়ের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের সমর্থক সম্রাট ফোনে আবুল বাশার বিপ্লবের সমর্থক জাকারিয়াকে হুমকি-ধামকি দেন।
সম্রাট রাত ৯টার দিকে বিপ্লবের অপর সমর্থক মো. ফারুক হোসেনকে জামে মসজিদের সামনে অবস্থিত বিএনপি অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে মারধর করার জন্য উদ্ধৃত হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে বোয়ালমারী থানার এএসআই আশরাফুল ইসলাম বাদি হয়ে ১৫১ ধারায় রবিউল ইসলাম সম্রাটকে আসামী করে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশ সম্রাটকে বুধবার দুপুরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, হুমকির অভিযোগে সোমবার রাতেই মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সম্রাটকে বুধবার দুপুরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর স্থানীয় একটি পত্রিকা কার্যালয়ে মো. আবুল বাশার বিপ্লব গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে অভিযোগ করেছিলেন, এক সময় যারা চুরি, ডাকাতি ছিনতাই করে জেল খেটেছে আজ তাদের সাথে নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম নির্বাচনী গণসংযোগ করছেন। এ সময় তিনি আরো বলেছিলেন, গত নির্বাচনে তিনি (সিরাজুল ইসলাম) আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ‘তিনি আর নির্বাচন করবেন না। এছাড়া তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে পারেন না।’
সময় জার্নাল/এলআর