বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

এত সুবিধা দেয়ার পরও খেলাপি ঋণ কেন বাড়ছে

রোববার, আগস্ট ১৪, ২০২২
এত সুবিধা দেয়ার পরও খেলাপি ঋণ কেন বাড়ছে

সময় জার্নাল ডেস্ক:

আগস্টের হিসাবে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরো বেড়ে গেছে৷ গত জুলাই মাসে বাংলাদেশ ঋণখেলাপিদের জন্য সুযোগ সুবিধা আরো বাড়িয়ে দেয় হয়৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক কারণে খেলাপি ঋণ আদায়ে আদায় হচ্ছে না৷ এতে অর্থনীতির বড় ক্ষতি৷

চলতি আগস্ট মাসে খেলাপি ঋণের সর্বশেষ যে পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া গেছে তাতে তা সওয়া লাখ কোটি টাকা ছড়িয়ে গেছে৷ গত ডিসেম্বরে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ছিলো এক লাখ তিন হাজার কোটি টাকা৷ সর্বশেষ হিসেবে জুন মাসে তার পরিমাণ হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা৷

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলছে, চলতি ২০২২ সালের জুন মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা৷ এটি মোট বিতরণ করা ঋণের আট দশমিক ৯৬ শতাংশ৷ যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণ৷

বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাই মাসে ঋণখেলাপিদের জন্য বড় ধরনের ছাড় দেয়৷ ঋণের শতকরা আড়াই থেকে চার শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ দেয়া হয়৷ এর আগে এটা ছিল শতকরা ১০ শতাংশ৷

বাংলাদেশ ব্যাংক করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্ষতিতে পড়া অর্থনীতির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ঋণ পুনঃতফসিলে এই ছাড় দেয়৷ আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও শ্রেণিকৃত ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার যুক্তি দেখায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷ কিন্তু বাস্তবে ফল হচ্ছে উল্টা৷ খেলাপি ঋণ আরো বাড়ছে৷

চলতি বছরের ৩১ মার্চ শেষে দেশে মার্চ প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা৷ সর্বশেষে তিন মাসে (মার্চ থেকে জুন) ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১১ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা৷ আর বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চে) বেড়েছিল ১০ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা৷ আর গত এক বছরে ২০২১ সালের জুন থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকা৷ ২০২১ সালের জুনে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৯ হাজার ২০৫ কোটি টাকা৷ অন্যদিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ তিন হাজার ২৭৩ কোটি টাকা৷ সর্বশেষ ছয় মাসে দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা৷

খেলাপি ঋণের এই হিসাবের মধ্যেও ফাঁকি আছে৷ কারণ এখানে পুনঃতফসিল করা ঋণের হিসাব দেখানো হয় না৷ ওই ঋণ অবলোপ করা হয়৷ পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘খেলাপি ঋণের যে হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক দেয় আইএমএফের হিসেবে তার পরিমাণ বস্তবে দ্বিগুণের কম নয়৷ কারণ পুনঃতফসিল করা ঋণ রেগুলার ঋণ হিসেবে দেখানো হয় ৷ আসলে ওই টাকা আর কখনো ফেরত পাওয়া যাবেনা৷'

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল