গজারিয়া প্রতিনিধি :
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড, পাখির মোড়, জামালদি বাস স্ট্যান্ড সহ একাধিক স্থানে লকডাউন আইন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে আছেন গজারিয়া থানা পুলিশ ও ভবেরচর ফাঁড়ি পুলিশ।পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে নিয়মিত গণসচেতনতা বৃদ্ধি সহ করা হচ্ছে অর্থদণ্ড।
লকডাউনের পঞ্চম দিন রবিবার আঠারোই মার্চ সকাল থেকে গজারিয়া থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ উদ্যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একাধিক স্থানে লকডাউন বাস্তবায়নে কার্যক্রম চলতে দেখা যায়।
ভবেরচর হাইওয়ে ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জুয়েল জানান, লকডাউন বাস্তবায়নের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে । শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ কর্মস্থলে যেতে নানা অজুহাত ও কৌশল দেখাচ্ছে ।নেই তাদের নিজস্ব পরিবহন । বেসরকারি শিল্প কারখানা অফিস-আদালত খোলা থাকায় বিপদে আছে সাধারণ মানুষ।
মুড়ি বিক্রেতা হাসান জানান, আট বছর যাবত মুড়ি বিক্রি করে সংসার চলছে। লকডাউন থাকায় গাড়ি ১০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা লাগছে। সরকারের লকডাউন দীর্ঘদিন চললে আমাদের মত সাধারন হকার সংসারে ডাল ভাত খেয়ে বাঁচা মুশকিল।
শরীয়তপুর জেলার নিবাসী পথযাত্রী শান্ত জানান, রাজধানী ঢাকায় বেসরকারি ফার্মে চাকরি করেন। অফিস থেকে বারবার ফোন দিচ্ছে, কাজে যোগদানের জন্য উপস্থিত না হলে চাকরি থাকবে না। সরকার গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছেন অফিস, শিল্প কারখানা, খোলা রেখেছে। বিপাকে বিপদে আছি খেটে খাওয়া সাধারন শ্রমজীবী মানুষ।
গজারিয়া থানা তদন্ত ওসি মোহাম্মদ তানভীর হাসান জানান লকডাউন এর পঞ্চম দিন রোববার সকাল থেকে চলছে লকডাউন বাস্তবায়ন কর্মসূচি কঠোর নজরদারি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী বহনকারী যেকোনো পরিবহন গতিরোধ করে তল্লাশি সহ মোটরযান আইনে একাধিক মামলা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সতর্কতার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
গজারিয়া উপজেলাধীন বাউশিয়া ইউনিয়নে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান জানান, করোনা মহামারী প্রতিরোধে লকডাউন বর্ধিত করা হলে এখনই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় । স্থানীয় সরকার, জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় শিল্প কারখানার মালিকদের নিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের আশঙ্কা দূর করতে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ।