সময় জার্নাল ডেস্ক:
মেস জীবন। হল জীবন। কিছু নেই। একটা ডিম এনে ভর্তা করে বা ভাজি করে ভাত খাওয়া হয়ে যায়। মামার দোকানে কিছু নেই। ডিম থাকলে খাওয়া হয়ে গেল। এখন লাগাম ছাড়া ডিমের বাজার।
ডিমের হালি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ডজন বাজারভেদে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। গত সপ্তাহেও একটি ডিম বিক্রি হয়েছে ১১ থেকে ১২ টাকায়, অর্থাৎ হালি ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।
শনিবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা ডজন দরে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ২৪০ টাকায়। সোনালী মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। তারা বলছে, এক মাসে দাম বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
ডিমের এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। কারণ গরিব ও মধ্যবিত্তের আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিম। মাছ-মাংসের দাম বাড়তি থাকলে ডিম দিয়ে আমিষ ও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হতো। সেই ডিম এখন একটি কিনতে গুণতে হচ্ছে ১৫ টাকা।
এদিকে, দাম বাড়ার জন্য পাইকারি ব্যবসায়ী ও খামারিরা একে অপরকে দুষছেন। এমন পরিস্থিতিতে ডিমের দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখতে করণীয় নির্ধারণে রোববার বিকেলে সচিবালয়ে সভা ডেকেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সভায় পোলট্রি খাতের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন। সভা থেকে ডিমের উৎপাদন খরচ ঘোষণা করা হতে পারে।
ডিম বিক্রেতারা সরবরাহ কমে যাওয়াকে কারণ দেখিয়েছেন এবং খামারিরা উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণ দেখাচ্ছেন- গত কিছু দিনের অতিরিক্ত গরমের পর এখনকার অতিবৃষ্টিকে।
ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ বলেন, সম্প্রতি প্রচণ্ড গরমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লেয়ার মুরগি মারা গেছে। এছাড়া, গরমে মুরগিগুলো ঠিক মতো খেতেও পারেনি। ফলে ডিমের উৎপাদন কমে গেছে।
সময় জার্নাল/এলআর