সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ রাসেল দিবস -২০২৩ উদযাপিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় শেখ রাসেল হল প্রাঙ্গনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম প্রধান অতিথি হিসেবে আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।
এর আগে সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের সহিত জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। একই সময়ে শেখ রাসেল হলের পতাকা উত্তোলন করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান, দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনসহসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা উত্তোলন শেষে শেখ রাসেলের ভাস্কর্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদনের পর একে একে শেখ রাসেল হল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী পেশ করা হয়। এরপর শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে সেখানে কেক কাটা হয়। এছাড়া শেখ রাসেলের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। পরে শেখ রাসেল হলের টিভি কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
সভায় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকি বিল্লাহ বিকুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নতির শিখরে আরোহন করছে। এটা দেশবিরোধী শক্তিরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। এদেশে দেশবিরোধী কিছু মতলববাজ বুদ্ধিজীবী আছে, এদেরকে কোনো টকশোতে, অনুষ্ঠানে আপনারা দাওয়াত দেবেন না। এদেরকে পরিহার করতে হবে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে, তাইলেই শেখ রাসেলের আত্মা শান্তি পাবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবারকে হত্যার পেছনে একটা ক্রোধ ছিল। ঘাতকরা কখনও চায়নি বঙ্গবন্ধু দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাক। এজন্য তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে সপরিবারে হত্যা করে। শিশু শেখ রাসেল শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা, বন্ধুদের প্রতি বন্ধন ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি ভালোবাসায় ছিলেন অনন্য। সেই ছোট্ট রাসেলকেও ছাড়েনি ঘাতকরা৷ আজকের শিশুদের শেখ রাসেলের কাছ থেকে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও মমত্ববোধ সহ সর্বোপরি সব বিষয়ে শিক্ষা নিতে হবে। আমরা শেখ রাসেলের হাসিকে কখনো ম্লান হতে দেবো না এই প্রতিজ্ঞা করছি।’
এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। পরে আলোচনা সভা শেষে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
এমআই
