সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

রাবির এ ইউনিটের ফলাফল পূণর্মূল্যায়নের দাবি

শনিবার, মার্চ ১৬, ২০২৪
রাবির এ ইউনিটের ফলাফল পূণর্মূল্যায়নের দাবি

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের ফলাফল অসঙ্গতিপূর্ণ উল্লেখ করে পূণর্মূল্যায়নের দাবি করেছে পরিক্ষায় কাঙ্খিত নম্বর না পাওয়া শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমপ্লেক্সে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তার নিকট প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী  এদাবি জানান। এসময় তারা প্রত্যেকে অভিযোগপত্র জমা দিতে চাইলেও অনুষদের অধিকর্তা ৩ জনের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সকলের খাতা পূণর্মূল্যায়নের আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা বলছেন তাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।  

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। কারো কারো খাতায় ১৫-২০ নম্বরের ঘাটতি রয়েছে। কারো কারো খাতায় ভূল উত্তরের সংখ্যা বেশি দেখানো হয়েছে। কিছু কিছু শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, তাদের সঠিক উত্তরের সংখ্যা মিল থাকলেও প্রতি সঠিক উত্তরে নম্বর ১.২৫ না দিয়ে ১ করে দেওয়া হয়েছে। তারা অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী উপস্থিত থাকার পরও কেন মাত্র তিন জনের অভিযোগ গ্রহণ করা হলো এনিয়ে

উত্তরপত্রে নম্বরের মান ঠিক রাখা হয়নি উল্লেখ করে সাদ্দাম হোসাইন নামের এক পরিক্ষার্থী বলেন, প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে ১ দশমিক ২৫ নাম্বার। আমার যে উত্তর সঠিক হয়েছে সেগুলো এই নাম্বার দিয়ে গুন করলে অনেক হয় কিন্তু এক নম্বর করে ধরলে ফলাফলের সাথে মেলে। এইখানে ক্যালকুলেশনে ভূল থাকতে পারে।

কাঙ্খিত নম্বরের চেয়ে কম পেয়েছেন বলে মনে করছেন তৌফিক আহমেদ শিপন নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, দেশের স্বনামধন্য কোচিং সেন্টারের দেওয়া উত্তর ও সহায়কের সাথে মিলিয়ে দেখেছি আমার ৭০ এর মতো নম্বর আসবে। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ হলে দেখা যায় ৬১ দশমিক ৫০ পেয়েছি। হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের নম্বর গননার ক্ষেত্রে কোন ক্রুটি থাকতে পারে।

অভিযোগ দিতে এসেছিলেন আরমান হোসেন নামের এক শিক্ষার্থীর মা। তিনি বলেন, আমার ছেলে ভালো পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু ফলাফল দেখে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হয়েছে। তাই আমি অভিযোগ দিতে এসেছি। ডিন স্যার কয়েকজনের আবেদন রেখে তাদের খাতা আবার দেখতে চেয়েছে। আশা করি তাদের খাতা চ্যালেঞ্জে টিকে গেলে আমদের সবার খাতা দেখা হবে । এজন্য যদি প্রতিদিনই রাজশাহীতে আসা লাগে তাহলেও আমি রাজশাহীতে আসার জন্য প্রস্তুত আছি। আমার সন্তানের জন্য আমি সব করতে পারি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা 'এ' ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক এক্রাম উল্যাহ বলেন, উত্তরপত্রের যথাযথ মূল্যয়ণ করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েল কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দক্ষ ৫ জন শিক্ষকের উপস্থিতিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। কয়েকবার চেক করার পরেও আমরা র‍্যানডম কিছু ওএমআর বের করে ম্যানুয়ালি মূল্যায়ন করে মিলিয়ে দেখেছি। উভয় মূল্যায়ন পদ্ধতিতেই ফলাফল একইরকম ছিল। তাদের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।

তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ মূল্যায়ন করতে আমি তিনটি অভিযোগ পত্র জমা রেখেছি। ওই তিনজন পরীক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এইগুলো পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে। যদি ন্যূনতম অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে অভিযোগ গ্রহণ করে সবার উত্তরপত্র আবার মূল্যায়ন করা হবে।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল