মুহা: জিল্লুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব ও সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালীন এএসপি (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার তৎকালিন ওসি মো. ইনামুল হকসহ পুলিশের ১৫ জন ও আওয়ামী লীগের দশ নেতাকর্মীর নামে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের মোঃ মাদার সরদারের ছেলে মোঃ ওবায়দুল্যাহ বাদী হয়ে বুলডেজার দিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে এক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবী করে সোমবার (২৬ মে) সাতক্ষীরা চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক মোঃ মায়নুদ্দিন ইসলাম বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে তদন্ত সাপেক্ষে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী সাতক্ষীরার বারের সহসভাপতি এড. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মামলার আসামিরা পরষ্পর যোগসাজে ২০১৪ সালের ১জানুয়ারি সাতক্ষীরা সদরের শাকরা কোমরপুর এলাকার বৈচনা গ্রামের মোঃ মাদার সরদারের ছেলে মোঃ ওবায়দুল্যাহ বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে বুলডেজার দিয়ে বাদীর ঘরবাড়ি ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুলিশ তখন এ মামলাটি আমলে নেয়নি। তাই দীর্ঘ ১৫ বছর পর কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ও আসামীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ ওবায়দুল্যাহ।
মামলার বাদী মোঃ ওবায়দুল্যাহ বলেন, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি তার বাড়ি ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে লুটপাট করে তৎকালিন আওয়ামী সরকারের পেটুয়া বাহিনী। যার নের্তৃত্বে ছিলেন সাতক্ষীরার তৎকালিন ডিসি নাজমুল আহসান। তিনি বলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও বহাল তরবিয়তে আছেন হাসিনার অবৈধ নির্বাচন ও খুন গুমে অংশ নেওয়া পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব নাজমুল আহসান।
তিনি আরো বলেন, নাজমুল আহসানের সময়ে শুধু সাতক্ষীরা জেলাতেই রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪৩ জন নিহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ২৭ জন। এদের সবাই স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। তিনি এঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করেন।
এমআই