এস এম জহিরুল ইসলাম, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় এক গৃহবধূকে অর্ধনগ্ন করে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার চেষ্টা, স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই এবং ঘর থেকে নগদ অর্থ লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্রীপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী মো. আলমগীর হোসেন গত ১২ জুন থানায় মামলাটি (নং-২২) দায়ের করেন। মামলায় দরগারচালা ও কোশাদিয়া গ্রামের আটজনকে নামীয় আসামি এবং আরও অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। নামীয় আসামিরা হলেন– মানিক হোসেন (৩৫), জিয়াউর রহমান (৪৫), মাছুম (৩০), লিলি আক্তার (৪২), রিয়াদ (২০), মদিজা খাতুন (৪৫), লিপি আক্তার (৩০) ও জাহিদ (২০)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ জুন দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে শ্রীপুর উপজেলার দরগারচালা এলাকায় শিলা আক্তার নামের ওই গৃহবধূ একা ঘরে অবস্থান করছিলেন। এই সুযোগে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ অভিযুক্তরা তার বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরে ঢুকে তারা শিলাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রতিবাদ করায় ঘরের উঠানে ফেলে বেধড়ক মারধর শুরু করে।
গুরুতর অভিযোগে আরও বলা হয়, মানিক হোসেন ধারালো রামদা দিয়ে শিলার মাথায় কোপ মারেন। জিয়াউর রহমান আরও একটি কোপ দেন। মাছুম নামের এক যুবক ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করার চেষ্টা করলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে থুঁতিতে লাগে। লিলি আক্তার শিলার গলা চেপে শ্বাসরোধের চেষ্টা করেন। রিয়াদ শিলার গলা থেকে আধা ভরি স্বর্ণের চেইন (মূল্য আনুমানিক ৭৫ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেন। লিপি, জাহিদসহ বাকিরা মারধর চালিয়ে ঘরের ওয়ারড্রোব ভেঙে গরু বিক্রির ২ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
আহত অবস্থায় স্থানীয়রা শিলা আক্তারকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল বারিক বলেন, “ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি নিয়মিত মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই ও দোষীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।”