নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে ১৭ জুলাই মধ্যরাতে এক নোটিশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে স্থিমিত হয়ে পড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন। ঠিক সেই সময়ে ১৮ জুলাই আন্দোলনের হাল ধরেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
সেদিন রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, নতুনবাজার, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকার রাজপথে নেমে আসেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরাও নিজ নিজ জেলার কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
দিনটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ঐতিহাসিক এক দিন। এসব কারণে ১৮ জুলাইকে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে দিনটিকে ‘জাতীয় দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ (পুসাব) তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা এবং দাবি জানায়।
পোস্টে বলা হয়, ১৮ জুলাইয়ের সেই সাহসী প্রতিরোধ না হলে ৫ আগস্টের বিজয় হয়তো অধরাই থেকে যেতো। এদিনেই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী শহীদ ও আহত হন। তাই দিনটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিরোধ দিবস’ (Private University Resistance Day) নামে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি।
এতে আরও বলা হয়েছে, এ দিনটি শুধু স্মরণ নয়, প্রতিরোধের প্রেরণাও বয়ে আনে। আমরা চাই, এ দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পাক। সরকার দ্রুত ১৮ জুলাইকে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।
পোস্টে আরও বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার ইতিহাসে ১৮ জুলাই একটি মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার দিন। এ আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দিনটিকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া সময়ের দাবি।
একে